গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা নৃশংসতার নতুন পর্যায়ে, আদালতের হস্তক্ষেপ দরকার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ মে ২০২৪, ২১:৩৭
গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা নৃশংসতার নতুন পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। রাফায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান হলো ফিলিস্তিনিদের 'পুরোপুরি নির্মূল করার' শেষ পর্যায়। এ থেকে ইসরাইলকে বিরত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের 'হস্তক্ষেপ' দরকার। আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিরা এই মন্তব্য করেন।
আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবী তেমবেকা এনকুকাইতোবি শুনানির সময় বলেন, গাজায় ইসরাইল 'সর্বাত্মকভাবে গণহত্যা' চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, রাফায় ইসরাইলের সামরিক হামলা কেবল 'গণহত্যার মতো নয়' নয়, সেইসাথে ইসরাইলের 'প্রকাশ্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতও।'
তিনি বলেন, 'গণহত্যার' পরিণতি হতে পারে মর্মে প্রকাশ্য সতর্কবাণী সত্ত্বেও ইসরাইল রাফায় অভিযান চালাচ্ছে।
আইনজীবী বলেন, জেনোসাইড কনভেনশন অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের নিকে থাকার জন্য যে স্থানটির দরকার, সেটি হলো রাফা। রাফাই হলো তাদের শেষ দাঁড়ানোর স্থান।
তিনি বলেন, রাপা ছাড়া গাজা কোনো দিনই পুনর্গঠন করা সম্ভব হবে না।
নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ভুসিমুজি মাদোনসেলা আইসিজের আগেরকার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা এবং জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের নির্দেশনা অমান্য করার জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেন।
তিনি বলেন, আদালতের গত শুনানির পরও ইসরাইল গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই গণহত্যা এখন নতুন ও নৃশংস পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন জমা দেয়া অধ্যাপক ভন লই বলেন, এখন ক্রমাগতভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে রাফায় ইসরাইলি অভিযান হলো গাজাকে ধ্বংস করার শেষ খেলা, এই এলাকাকে মানুষের বসবাসের অযোগ্য করে তোলা।
তিনি ইসরাইলের নিজেকে রক্ষা করার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এখন যদি আদালত হস্তক্ষেপ না করে, তবে গাজাকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে পুনর্গঠন অসম্ভব হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, ইসরাইলের ঘোষিত লক্ষ্য হলো গাজাকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবী ম্যাক ডু প্লেসিস আদালতে বলেন, রাফা সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে ইসরাইল ভয়াবহ মানসিক সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ক্রসিংগুলো বন্ধ করার মানে হলো তারা ফিলিস্তিনিদের খাদ্য থেকে আরো বঞ্চিত করে ক্ষুধায় হত্যা করবে।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা