যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও গাজায় চলছে প্রচণ্ড লড়াই
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ মে ২০২৪, ১৬:৩৮
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাসহ গাজায় হামাসের সাথে ইসরাইলের তুমুল লড়াই চলছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র রাফায় পূর্ণ অভিযানের বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছে। একইসাথে যুদ্ধোত্তর নৈরাজ্য ও বিদ্রোহের হুমকি নিয়েও সতর্ক করেছে।
তা সত্ত্বেও গাজার উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে হামাসের সাথে ইসরাইলের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
পূর্ব রাফায় হেলিকপ্টার থেকে হামলা ও ভারি গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। একইসাথে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্প এবং গাজা নগরীর জৈতুন এলাকায় লড়াই চলছে।
ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশের আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরাইল রাফায় স্থল হামলার প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশটি পূর্ব রাফায় ট্যাংক ও সৈন্য পাঠিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ বলছে, মিসর সীমান্ত সংলগ্ন রাফায় গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে ১৪ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু ইসরাইলের হামলার হুমকির কারণে রাফা থেকে এ পর্যন্ত তিন লাখ ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা এ কথা জানিয়েছে।
সংস্থাটি আরো বলেছে, গাজায় কোনো এলাকাই নিরাপদ নয়। অধিকাংশ এলাকা ধূসর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
উত্তর গাজায় হামাসের কমান্ড সেন্টার ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে ইসরাইল দাবি করার কয়েকমাসের মধ্যে সেখানে আবারো হামলা শুরু করেছে দেশটি।
ইসরাইলি সেনা মুখপাত্র বলছে, হামাসে সেখানে তার সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা এজেদিন আল কাসাম বিগ্রেড বলেছে, তাদের সদস্যরা রাফা ও জাবালিয়ায় ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে।
এদিকে জাতিসঙ্ঘ বলেছে, রাফায় ইউরোপীয়ান হাসপাতালের দিকে যাওয়ার পথে জাতিসঙ্ঘের গাড়িতে হামলার কারণে সংস্থাটির নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত ও আরো একজন আহত হয়েছে।
গাজা যুদ্ধকালে এটিই প্রথম জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক হতাহতের ঘটনা। যুদ্ধকালে এ পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘের ১৯০ ফিলিস্তিনি কর্মী নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরাইলিকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মিকে আটক করে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে, যা এখনো চলছে। গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫ হাজার ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। সূত্র : বাসস