গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইসরাইলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান মিসর-কাতারের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ মে ২০২৪, ১০:৪০, আপডেট: ১২ মে ২০২৪, ১৩:৫৭
যুদ্ধ শেষে গাজায় বেসামরিক প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে ইসরাইলের দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে মিসর ও কাতার।
রোববার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা জেরুসালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সৌদি-অধিভুক্ত আল-আরাবিয়া নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, মিসর, কাতার ও অন্যান্য আরব দেশগুলো যুদ্ধ শেষে গাজা উপত্যকায় বেসামরিক প্রশাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য ইসরাইলের দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতও এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয়। আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেন, ‘নেতানিয়াহুর গাজা উপত্যকার বেসামরিক প্রশাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর কোনো আইনি অধিকার নেই।’
এদিকে মিসর গাজা উপত্যকায় মানবিক অবস্থার অবনতির জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন যুদ্ধ শেষ হবার পর গাজার শাসনব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘আমরা আরব দেশগুলোর সাথে কাজ করছি যারা যুদ্ধ পরবর্তী গাজা উপত্যকার পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে প্রস্তত।’
এ সময় বাইডেন দুই দেশের ভিশন একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেন।
স্কাই নিউজ আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে যে- রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করা হবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব না পাওয়া পর্যন্ত একটি বেসরকারি আমেরিকান কোম্পানি রাফাহ ক্রসিংয়ের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেবে।
এর জবাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার যেকোনো পরিকল্পনার বিষয়গুলো আমরা সেভাবেই মোকাবিলা করব যেভাবে দখলদারিত্ব মোকাবেলা করছি।’
ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে যে- তারা ‘কোনো পক্ষের কাছ থেকে রাফাহ ক্রসিং -এর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করবে না।’
এদিকে জাতিসঙ্ঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রধান বলেছেন, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে প্রায় সাত মাস যুদ্ধের পর উত্তর গাজা ‘পূর্ণাঙ্গরূপে দুর্ভিক্ষের’ কবলে পড়েছে। কিন্তু একটি আনুষ্ঠানিকভাবে এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল, দুর্ভিক্ষের ঘোষণা রাজনীতি এবং কতজন লোক মারা গেছে তা নিশ্চিত করার জটিলতার সম্মুখীন হবে।
সিন্ডি ম্যাককেইন রোববার সম্প্রচারিত এনবিসির একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, দীর্ঘকাল ধরে বাইরের খাদ্য সহায়তায় নির্ভরশীল এই অঞ্চলে মানবিক সরবরাহের ওপর ইসরাইলের কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে গাজার সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন, বিধ্বস্ত অংশে বেসামরিক নাগরিকদের প্রান্তিক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে।
সূত্র : দ্যা জেরুসালেম পোস্ট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা