পূর্ব জেরুসালেমে জাতিসঙ্ঘের কম্পাউন্ডে ‘অগ্নি হামলার’ পর বন্ধ ঘোষণা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ মে ২০২৪, ১০:০২
পূর্ব জেরুসালেমে স্থানীয় ইসরাইলি বাসিন্দারা জাতিসঙ্ঘের কম্পাউন্ডের প্রান্তবর্তী এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসঙ্ঘের প্রধান সহায়তা সংস্থা সেখানে তাদের সদর দপ্তর বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, যথাযথ নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তিনি কম্পাউন্ডটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে এরকম দ্বিতীয় ঘটনা।
তিনি আরো বলেন, এটি একটি ভয়াবহ অবনতি। আবারো জাতিসঙ্ঘের কর্মীদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
লাজারিনি বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘের কর্মী ও স্থাপনাগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরাইল রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’
ইসরাইল সৃষ্টির সময় ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে পালিয়ে আসা বা তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের পরিচালনা করার জন্য ইউএনআরডব্লিউ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
ইসরাইলের পুলিশ জানায়, তারা ইউএনআরডব্লিউএ কম্পাউন্ড সংলগ্ন আগুনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এতে বলা হয়, ‘পুলিশি তদন্তের প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই কাজটি অল্প বয়সী অপ্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা সংঘটিত। তাদের বয়স অপরাধমূলক দায়বদ্ধতার জন্য বিধিবদ্ধ বয়সসীমার নিচে।’
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি কর্মকর্তারা বারবার গাজায় হামাসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সংস্থাটি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসঙ্ঘ দৃঢ়ভাবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরাইল পুরো জেরুসালেমকে তার অবিভাজ্য রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। জেরুসালেমের মধ্যে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করা পূর্বাঞ্চলও রয়েছে। জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ভবিষ্যত রাজধানী হিসেবে দেখতে চায়।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা