উত্তাল ইসরাইল, নেতানিয়াহুর বিদায় দাবি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ মে ২০২৪, ০৭:১৭
পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়েও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থামাতে রাজি নয় ইসরাইল। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হামাসসহ গাজাকে ধূলিসাৎ না করা পর্যন্ত এই লড়াইয়ের শেষ নেই। ঘরেবাইরে বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখেও নিজেদের অবস্থানে অনড় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার। রাগে ফুঁসছে তার দেশের মানুষ। তেল আবিবের ডেমোক্র্যাসি স্কোয়ারের সামনে আজ জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। তাদের দাবি, হামাসের হাত থেকে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি চাই। সরকার বদল চাই।
গত এক সপ্তাহ ধরে নেতানিয়াহু-বিরোধী আন্দোলন চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যালিফর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকাজুড়ে। হাজারো নিষেধাজ্ঞা, সেনাসদস্যদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে সোমবারও পথে নামেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই। সোমবার ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ফিলিস্তিনি-সমর্থকদের সাথে হাতাহাতি হয় পুলিশের। ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের উঠে যেতে বলে পুলিশ। কথা শোনেনি শিক্ষার্থীরা। ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মাঝ-এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত আমেরিকায় দু’হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবারও ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে। অনেক ছাত্রছাত্রীর দাবি, মরিচের গুঁড়োও ছড়িয়েছে পুলিশ। এই ঘটনা প্রথম নয়। শিক্ষার্থীদের অনেকে তাই বিশেষ মুখোশ পরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ নিয়ে দায় এড়িয়ে গিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, গ্রেফতার হওয়া ২৫ জনের মধ্যে কতজন তাদের শিক্ষার্থী, সে বিষয়েও তাঁরা নিশ্চিত নন।
তেল আবিবের চিত্র ভিন্ন। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের হামলার পরে ‘চেঞ্জ জেনারেশন’ নামে একটি সংস্থা তৈরি হয়েছে দেশটিতে। তাদের নেতৃত্বে সোমবার পথে নেমেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। দাবি, হামাসের হাত থেকে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করে
আনতে হবে এবং নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। পুলিশ তেল আবিবের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেগিন স্ট্রিট ও কাপলান স্ট্রিটের কিছুটা অংশ বন্ধ করে দেয়। আয়ালন ফ্রিওয়ের বেরোনোর পথও আটকে দেয়। এতে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়নি। তবে তাতে বিক্ষোভ আটকানো যায়নি। এ দিনের বিক্ষোভে হামাসের হাতে বন্দিদের পরিবারের পাশাপাশি যুদ্ধে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্তেরা উপস্থিত ছিলেন। যেমন, বার ও উরি হেফেৎজ। গাজা উপত্যকার কাছে নিরিম এলাকায় বাবা-মেয়ের বাড়ি। ৭ অক্টোবরের পরে তারা আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। জনাথন শামরিজের ভাই অ্যালোনকে ভুল করে হত্যা করেছিল ইসরাইলি বাহিনী। তিনিও বিক্ষোভে অংশ নেন। হাজির ছিলেন সাপির কলেজের শিক্ষিকা রিভকা নেরিয়া বেন। গাজার যুদ্ধে লড়তে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন রিভকার ভাই। সকলেরই দাবি, পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনতে হবে। যুদ্ধ থামাতে হবে। নেতানিয়াহু সরকারকে উচ্ছেদ করতে হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা