ইসরাইলে হামলার পর রাজপথে ইরানিদের উল্লাস

ইসরাইলের হামলা খবর পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছে ইরানের জনগণ। শনিবার মধ্যরাতে একযোগে কয়েকটি স্থান থেকে ইসরাইলে হামলার পরই তারা দলবেধে রাজপথে নেমে আনন্দ প্রকাশ করে।

টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী তাদের অপারেশন ‘ট্রুথফুল প্রমিজ’-এর ঘোষণা দেয়ার পরই রাজপথে নামে বাসিন্দারা। তারা তেহরানের প্যালেস্টাইন স্কয়ারে সমবেত হয়ে ‘ইসরাইল নিপাত যাক’, ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

এদিন তেহরানের প্যালেস্টাইন স্কয়ারে একটি একটি প্রতিবাদী ম্যুরাল উন্মোচন করা হয়। তাতে লেখা হয়েছে, ‘পরবর্তী চড়টি হবে আরো তীব্র’। এছাড়া সেখান হিব্রু ভাষায় একটি ব্যানার ঝোলানো রয়েছে, তাতে ইসরাইলিদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার সকালেও তেহরানে মিছিল হয়েছে।

মিছিলকারীদের হাতে আল্লাহর বিজয় অতি সন্নিকটে লেখা ব্যানার দেখা গেছে। বিক্ষোভকারীরা ইরান ও ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছে।

এদিকে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান তিন শতাধিক ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আইডিএফের মুখপাত্র ড্যাডিয়েল হাগরি বলেন, রাতে ইরাক ও ইয়েমেন থেকেও ইসরাইলে হামলা হয়েছে।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার কথা স্বীকার করে বলেছে, বেশিভাগ আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরানি হামলায় দক্ষিণ ইসরাইলের একটি বিমান ঘাঁটিতে কিছু ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন আহত হয়েছে। কারো মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ইসরাইল জানিয়েছে, ড্রোনগুলো তার আকাশসীমায় পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় নিয়েছে।
তবে পুরো ইসরাইলজুড়ে সাইরেনের শব্দের পাশাপাশি জেরুসালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একই সাথে ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিছু বস্তুকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

ইসরাইল, লেবানন ও ইরাক তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং সিরিয়া ও জর্ডান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সতর্কাবস্থায় রেখেছে।

ইরানের হামলা শুরুর পরপরই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। এছাড়া জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য দেশটির সামরিক বাহিনী প্রস্তুত আছে।
সূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য