১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা কায়রোয় পুনরায় শুরু হচ্ছে

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা কায়রোয় পুনরায় শুরু হচ্ছে - সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা রোববার কায়রোয় পুনরায় শুরু হচ্ছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা পুনরায় শুরুর সবুজ সঙ্কেত দেয়ার এক দিন পর কায়রোয় বৈঠকটি শুরু হতে যাচ্ছে।

মিসরের আল কাহেরা সংবাদ মাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

শনিবার আল কাহেরার খবরে বলা হয়েছে, মিসরের নিরাপত্তা সূত্র নিশ্চিত করেছে যে কাল (রোববার) ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হবে।

এর আগে মিসর, কাতার ও ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কয়েক দফা আলোচনা চলে। পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া সম্ভব হয়নি। এ জন্য ইসরাইল ও হামাস একে অন্যকে দোষারোপ করে আসছে।

দোহা ও কায়রোয় নতুন করে আলোচনা শুরুর বিষয়ে নেতানিয়াহু শুক্রবার অনুমোদন দেন। এর আগে তিনি মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার সাথে কথা বলেন। তবে তাদের মাঝে কী আলোচনা হয়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এদিকে ইসরাইলের বৃহত্তম শহরে শনিবার প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তারা গাজায় আটক পণবন্দীদের মুক্তির দাবি জানায়। একই সাথে তারা সরকারের যুদ্ধ পরিচালনারও সমালোচনা করে।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এই পণবন্দী মুক্তির বিষয়। ইসরাইলে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে বন্দীদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি আলোচকেরা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলে হামলা চালিয়ে ২৫০ জনকে পণবন্দী হিসেবে আটক করে। এর মধ্যে কিছু বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখনো ১৩০ পণবন্দী গাজায় আটক এবং এদের মধ্যে ৩৩ জন মারা গেছে বলে ইসরাইল ধারণা করছে।

এদিকে গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়ে বলেছে, নিহতদের বেশিভাগ নারী ও শিশু।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement