১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইল-গাজা নীতি কি বদলাচ্ছে!

যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইল-গাজা নীতি কি বদলাচ্ছে! - ছবি : সংগৃহীত

গাজা নিয়ে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে ভোট দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর তাতেই ক্ষুব্ধ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গাজায় এই মুহূর্তে যুদ্ধ-বিরতি ঘোষণা করা হোক, নিরাপত্তা পরিষদে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়ায় তা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

সোমবারের ভোটে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। তারা ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদে। যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানে প্রবল ক্ষুব্ধ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলাচ্ছে
গাজায় যেভাবে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জাতিসঙ্ঘে গাজা সংঘর্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধ-বিরতি নিয়ে প্রস্তাবনা এসেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দিয়েছে। বস্তুত, রাশিয়াও একবার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। কিন্তু সোমবার যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই ভোটে অংশ নেয়নি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর অর্থ যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছে প্রস্তাব গৃহীত হোক। তাই তারা ভোটে অংশ নেয়নি।

এই ঘটনার পর নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, ‘ইসরাইলের যে প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা ছিল, আপাতত তারা সেখানে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন।’

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ইসরাইলের প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাফাহ ছাড়া আর কোনো পথে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ওই প্রতিনিধি দলের সাথে।’

তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্র গাজা নিয়ে তাদের অবস্থান বদলে ফেলেছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। তারা ভোটে অংশ নেয়নি কারণ, প্রস্তাবে হামাসের যথেষ্ট বিরোধিতা করা হয়নি। তবে প্রস্তাবে পণবন্দীদের ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও তার সাথে যুদ্ধ-বিরতির দাবি মেলানো হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি সকলেই হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে।

এদিকে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই কাজ স্পষ্ট করে দিল যে তারা আগের অবস্থান থেকে সরে আসছে। এর ফলে গাজায় যে অভিযান চলছে তা ব্যাহত হবে এবং বন্দীদের মুক্ত করা আরো সমস্যার হবে।’

নেতানিয়াহুর কথায়, ‘এর ফলে যুদ্ধ-বিরতির সমান্তরালে বন্দীদের মুক্তির যে চাপ হামাসের ওপর তৈরি করা হয়েছিল, তা আর ধোপে টিকবে না।’
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement