বেনজীর পরিবারের আরো সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ জুন ২০২৪, ১৯:৫৩
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা আটটি ফ্ল্যাট এবং ২৫ একর ২৭ কাঠা জমি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে ১২ জুন বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা এই আটটি ফ্ল্যাট এবং ২৫ একর ২৭ কাঠা জমি ক্রোক করার আদেশ দেন আদালত। এই ফ্ল্যাটগুলো ঢাকার বাড্ডা ও আদাবরে এবং জমি নারায়ণগঞ্জ, বান্দরবান ও উত্তরায়।
তার আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এ ছাড়া ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এসব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়কও নিয়োগ দেন আদালত।
বেনজীরের পরিবারের সদস্যদের এসব সম্পদের মধ্যে গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভালে দুদককে দায়িত্ব দিয়েছিলেন আদালত। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে তাদের যেসব কৃষিজমি রয়েছে, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা দুটির কৃষি কর্মকর্তাদের। একইসাথে বেনজীর আহমেদের পরিবারের মৎস্য ও প্রাণীর খামার দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলার প্রাণিসম্পদবিষয়ক কর্মকর্তাকে।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সম্প্রতি বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি–অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা