ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল : হাইকোর্টের রায় বহাল চেম্বারকোর্টের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ মে ২০২৪, ১৮:২৫
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণীর ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগের চেম্বারকোর্ট।
রোববার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বারকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বিষয়টি নিয়ে ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের রায় স্থগিত করতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষে চেম্বারকোর্টে দুটি আবেদন দাখিল করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেয়। ফলে হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল থাকল।
হাইকোর্ট বিভাগের রায় হাতে পেলে সংক্ষুব্ধপক্ষ সিভিল পিটিশন দায়ের করতে পারবেন।
১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান।
গত ২১ মে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণীর ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তিতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট বিভাগ। তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। একই সাথে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণীর ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলই থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রথম শ্রেণীতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণীর ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি কেন বাতিল হবে না? এই মর্মে জারি করা রুল গত ২০ মার্চ দু’মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
এর আগে, ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। তার ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) একটি স্মারক হাইকোর্ট বিভাগে উপস্থাপন করে।
মাউশির ওই আদেশ মতে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করেনি। ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার প্রক্রিয়া ছিল বিধিবহির্ভূত। এসব ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৫৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে শিগগিরই মাউশিকে অবহিত করার অনুরোধ করা হয়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। হাইকোর্ট বিভাগের রায়েও এই বাতিল সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা