১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার : আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক - ছবি : ইউএনবি

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয়, বরং এটা অধিকার। সমাজের দরিদ্র-অসহায় নাগরিকদের আইনগত সহায়তা পাওয়ার সাথে দেশের আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও সামাজিক সমতা জড়িত।

আইনমন্ত্রী বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল যেকোনো নাগরিক আইনগত সহায়তা পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মূল সংবিধানেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও সমতার বিধানাবলীসহ বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব নাগরিকের প্রবেশাধিকারের বিধান সন্নিবেশ করে গেছেন।

রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এই অনুষ্ঠানে দুইজনকে সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবী হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২১ বছর আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষের আইনগত সহায়তা পাওয়ার অধিকারের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয়নি। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি প্রথমবার সরকার গঠন করেই ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন' প্রণয়ন করেন। ফলে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল ও সহায়-সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

তিনি আরো বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরো সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটিকে অধিকতর কার্যকর করতে হবে। কারাগারগুলোর সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। আইন সহায়তা প্রদানকালে পুথিগত আইন প্রয়োগের দৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণকেও স্থান দেয়া উচিত। পাশাপাশি আইনগত সহায়তার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্বপ্রণোদিত, দ্রুত ও কার্যকর আইনিসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রত্যেক লিগ্যাল এইড কমিটি, লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

আনিসুল হক বলেন,‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি’ বা এডিআর মামলাজট নিরসনের সহায়ক পন্থা হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। জার্মান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা-জিআইজেডের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশের ৮৭ ভাগ মানুষ স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আগ্রহী এবং শতকরা ৩০ ভাগ নাগরিকের প্রাথমিক দ্বন্দ্বের কারণ প্রতিবেশীর সাথে ছোটখাটো বিরোধ বা মারামারী, যা স্থানীয়ভাবেই নিষ্পত্তিযোগ্য। কিন্তু আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির হার অতি নগণ্য। এর মূল কারণ সামাজিক পরিবর্তন, সামাজিক উন্নয়ন, মানুষের ব্যস্ততা এবং মধ্যস্থতাকারীর প্রতি আস্থার অভাব। একারণে আমরা ২০১৫ সালে‘আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’ বিধিমালা প্রণয়ন করেছি এবং এতে লিগ্যাল এইড অফিসারদের মধ্যস্থতা করার পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, জুলাই, ২০১৫ থেকে মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৮৩৬টি বিরোধ নিষ্পত্তি করেছেন লিগ্যাল এইড অফিসাররা। তারা যেহেতু বিচারক ও আইনি বিধিবিধানের অধীনে মধ্যস্থতা করে থাকেন, তাই লিগ্যাল এইড অফিসগুলো এখন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এ আস্থা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এ আস্থা আমাদের আরো মজবুত করতে হবে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
ডিএসইতে ১ ঘণ্টায় সূচক কমল ১০.৭১ পয়েন্ট রঙ তুলির আচড়ে প্রস্তুত হচ্ছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ নরসিংদী বেলাব অতিক্রম করছে আগরতলামুখী লংমার্চ আবু সাঈদের বাবাকে হেলিকপ্টারে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনে বাড়ি আর ফেরা হলো না শহীদ রাকিবের গেইলের রেকর্ড ভাঙলেন মাহমুদুল্লাহ নিম্ন আদালতের বিচারকদের মতামত চেয়েছে সংস্কার কমিশন কুয়াকাটায় ইয়াবাসহ মাদককারারি গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা ভারতের উচিত চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো : টবি ক্যাডম্যান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান

সকল