পুঁজিবাজারের সপ্তাহ বিদায় নেতিবাচক রূপে
ডিএসইর তারল্য কমেছে ৭ হাজার ৪১০ কোটি টাকা- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
বিক্রির চাপে নেতিবাচক চেহারাতে শেষ হলো এক সপ্তাহ। শুরুটা ভালো থাকলেও সপ্তাহের শেষে মুনাফা গ্রহণ, বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। বিনিয়োগকারীদের বিক্রয় চাপের কারণে সপ্তাহের শেষে এসে বাজার নেতিবাচক রূপ নিয়েছে। যদিও বেচা ও কেনার চাপটা প্রায় কাছাকাছি ছিল। তবে এক বছর আগের তুলনায় এখন বাজার ইতিবাচক। বেশি বিক্রির চাপে ছিল প্রকৌশল, ব্যাংক, ফার্মা ও টেলিকম খাতের কোম্পানিগুলো। আর ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও কমেছে ০.৭৬ শতাংশ বা ০.০৮ পয়েন্ট।
লেনদেনের সাপ্তাহিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ৯.২২ পয়েন্ট, এসএসই সূচক ২৯.২৬ পয়েন্ট বেড়েছে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ৮.৯৮ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ১.১৭ পয়েন্ট কমেছে গেল সপ্তাহে। টাকায় গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৪.৪৫ শতাংশ। তবে কমেছে বাজারমূলধন।
গেল সপ্তাহে ডিএসইর বাজারমূলধন কমেছে ১.১০ শতাংশ। বিক্রির চাপে শেয়ার বেচাকেনা ৬৮.৬৪ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক তথ্য বলছে, গেলো সপ্তাহে এক হাজার ৯৮৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার লেনদেন বেশি হয়েছে। শেয়ার হাতবদল বেড়েছে ৭৯ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজারটি। পুরো সপ্তাহে ১৫ কোটি ১০ লাখ ৮৪ হাজার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট চার হাজার ৪৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। যেখানে আগের সপ্তাহে ৭১ কোটি ৬৭ লাখ ১০ হাজার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছিল মোট দুই হাজার ৪৬৩ কোটি ৩০ লাখ টাকায়। ব্লক মার্কেটে ২৫৬ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকার, এসএমই মার্কেটে ৯২ কোটি ১০ লাখ টাকার বেচাকেনা হয়েছে। সার্বিকভাবে দাম বেড়েছে ২২০টির, কমেছে ১৫৪টির, দর অপরিবর্তিত ২২ টির এবং লেনদেন হয়নি ১৬টি কোম্পানির। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০.৩৮ পয়েন্টে; যা আগের সপ্তাহে ছিল ১০.৪৬ পয়েন্টে।
এ দিকে চট্টগ্রাম স্টকের তথ্য বলছে, বিদায়ী সপ্তাহে তিন কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৫টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে ২৬১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজার ১১৮ টাকা বাজারমূল্যে। ৩৫৫টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিলেও দর বৃদ্ধিতে ২৪৬টি, দর পতনে ৮৭টি, অপরির্বতন ২২টি ছিল। মূল্য সূচকের মধ্য সিএএসপিআই ২৯৪.০৮ পয়েন্ট এবং সিএসই৩০ সূচক ১৩৭.৬৮ পযেন্ট বেড়েছে।
বাজারের প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্লেষক রয়্যাল ক্যাপিটাল বলছে, শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক এই সপ্তাহে ০.১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে চলমান অস্থিরতা এবং বিনিয়োগকারীদের আশা কমে গেছে। ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় শেষ হয়েছে গেল সপ্তাহের শেয়ারবাজার। টার্নওভার ৪৪.৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ১১৭টি শেয়ারের বাজার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২৩৭টি শেয়ারের বাজার মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
বাজার মূল্যের ভিত্তিতে আটটি সেক্টর এই সপ্তাহে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০টি সেক্টর এই সপ্তাহে হ্রাস পেয়েছে। যেসব বিনিয়োগকারী বর্তমান বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন, তারা এখন বাজারে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে আগ্রহী হতে পারেন। সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বলা যায় যে, আগামী সপ্তাহে বাজারের সূচক কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ার পাশাপাশি মাঝারি পরিমাণে লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা