১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
হেলথ টিপস

প্লাস্টিক পণ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি

-

প্লাস্টিক পণ্য যেভাবে আমাদের জীবনধারার অংশ হয়ে গেছে, তাতে এসব পণ্য ছাড়া জীবন কল্পনা করাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্লাস্টিক কণা ছড়িয়ে পড়েছে বাতাসে, পানিতে। খাবারের মাধ্যমেও প্লাস্টিক কণা ঢুকে পড়তে পারে আমাদের শরীরে। প্লাস্টিকজনিত স্বাস্থ্যঝুঁঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।
শিশুর জন্য : শিশুর জন্য প্লাস্টিকের বোতল বেছে নেবেন না। নিতান্তই প্লাস্টিক ব্যবহার করতে হলেও তাতে গরম দুধ ঢালবেন না। গরম পানিতে প্লাস্টিকের বোতল পরিষ্কার করা হলে এরপর বারবার স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে তা ধুয়ে নিন। ডায়াপারের ব্যবহার সীমিত রাখুন। প্রয়োজনে কাপড়ের ডায়াপার বেছে নিন। প্লাস্টিকের খেলনা এড়িয়ে চলা ভালো। বিশেষ করে শিশু যেসব খেলনা মুখে দিতে পারে, সেগুলো যাতে প্লাস্টিকের না হয়।
খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্লাস্টিক কণার প্রবেশ কীভাবে রোধ করবেন?
প্লাস্টিকের পাত্রে বা প্যাকেটে খাবার না রাখাই ভালো। নিতান্তই রাখতে হলে ‘ফুড গ্রেড’ প্লাস্টিকের বাটি বেছে নিন।
প্লাস্টিকের পাত্রে পানি রাখবেন না। কাচের বোতল ব্যবহার করুন। কিংবা এমন বোতল ব্যবহার করুন, যার ভেতরটা ধাতব উপকরণে তৈরি। বিশেষ করে যখন আপনি রোদে যাচ্ছেন, তখন এ বিষয়টি খেয়াল রাখুন। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া প্লাস্টিকের গ্লাস ব্যবহার করবেন না। তরল গ্রহণের জন্য প্রচলিত ‘স্ট্র’ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বাঁশের তৈরি ‘ওয়ান টাইম’ চামচ, কাঁটাচামচ, প্লেট, গ্লাস প্রভৃতি ব্যবহার করতে পারেন। রেস্তোরাঁয় গিয়েও আগেই বলে দিন, প্লাস্টিকের কোনো পণ্য যাতে আপনাকে না দেয়া হয়। রান্নাঘরে প্লাস্টিকের কৌটা ও চামচ না রাখাই ভালো। চপিং বোর্ড, বেকিং ট্রে এবং বেকিংয়ের জন্য ব্যবহৃত ছাঁচ যাতে প্লাস্টিকজাতীয় পণ্যের না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
বাজারে যাওয়ার সময় একাধিক ব্যাগ সাথে রাখুন। বিক্রেতাকে প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যাগ দিতে নিষেধ করে দিন। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement