ক্ষমা চেয়ে চিঠি রেখে গেল চোর
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১০ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
বাড়িতে অসুস্থ প্রিয়জন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে ফুরিয়েছে শেষ সম্বলটুকুও। তাই অভাবের তাড়নায় বাধ্য হয়ে চুরি। কিন্তু পরের ধন হাতিয়ে চম্পট নয়, বরং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে চিঠি লিখে গেলেন চোর। নিজের করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করে আশ্বাস দিয়ে গেলেন, ঠিক সময়ে চুরির সব টাকা ফেরত দিয়ে যাবেন তিনি। আজব এই ঘটনা তদন্তে নেমে অবাক পুলিশও।
নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তুতিকোরিনে। সম্প্রতি ৭৯ বছর বয়সী চিথিরাই সেলভিনের বাড়িতে চুরি হয়। সেলভিন ও তার স্ত্রী, দুইজনেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাদের চার সন্তান রয়েছে। তবে ওই বাড়িতে থাকেন বৃদ্ধ দম্পতিই। তাদের কাজে সাহায্য করার জন্য বাড়িতে আসতেন এক পরিচারিকা। গত ১৭ জুন চেন্নাইয়ে ছেলের বাড়িতে যাবেন বলে নিজের বাড়ি তালা দিয়ে বেরিয়েছিলেন সেলভিন দম্পতি। তার পরে ২ জুলাই সেলভিনের বাড়িতে যান পরিচারিকা। সেখানে গিয়ে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা। সাথে সাথে পুলিশে খবর দেন তিনি।
পুলিশ এসে দেখে ঘর থেকে একাধিক জিনিস উধাও। চুরি গেছে অন্তত ৬০ হাজার টাকা। সেই সাথে খোয়া গেছে দুই জোড়া সোনার কানের দুল, রুপার নুপূর।
চুরি যাওয়া জিনিসের সন্ধান করতে গিয়ে একটি চিঠির খাম দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। খামের ভেতর থাকা চিঠিতে সবুজ রঙের কালিতে লেখা, ‘আমাকে ক্ষমা করবেন। আসলে আমার বাড়িতে একজন গুরুতর অসুস্থ। তার চিকিৎসা করাতেই বাধ্য হয়ে চুরি করেছি। টাকাসহ চুরি করা সব কিছু এক মাসের মধ্যে ফেরত দিয়ে দেবো।’
তামিল ভাষায় লেখা ওই চিঠি দেখে পুলিশের অনুমান, হয়তো চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন ওই চোর। যদিও এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা