৩৩ দিন পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ট্রলার চলাচল শুরু
- কক্সাজার অফিস
- ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
৩৩ দিন পর কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রীবাহী ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে। গত রোববার বিকেলে তিনটি ট্রলার ও সাতটি স্পিডবোট টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জেটিঘাটে এসে পৌঁছে। এর আগে যাত্রী নিয়ে দু’টি ট্রলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশে টেকনাফ ছেড়ে যায়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, মিয়ানমারের রাখাইনে সঙ্ঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসনের সহযোগিতায় বিকল্পপথে দু’বার সেন্টমার্টিনে আসা-যাওয়া করে ট্রলার। পরবর্তী সময়ে সাগর উত্তাল থাকার কারণে বিকল্পপথও বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে রোববার সকালে সেন্টমার্টিন জেটি থেকে যাত্রী নিয়ে তিনটি ট্রলার টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ ছাড়া সাতটি স্পিডবোট টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হয়। শেষ পর্যন্ত ট্রলার ও স্পিডবোট নিরাপদে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে পৌঁছেছে।
তিনি আরো জানান, ভরা জোয়ার হওয়ায় নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশ দিয়ে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করায় কোনো সমস্যা হয়নি। এখন থেকে নাফ নদীর এই পথ দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করবে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে চলমান সঙ্ঘাতের জেরে ১ জুন বিকেলে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হওয়া পণ্য ও যাত্রীসহ এক ট্রলারকে লক্ষ্য করে নাই্যংদিয়া এলাকা থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়। এ ছাড়া ৫ জুন সেন্টমার্টিনের স্থগিত হওয়া একটি ভোট কেন্দ্রে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফলাফল নির্ধারণের জন্য ভোট গ্রহণ হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরার পথে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্রলারকে লক্ষ্য করে একই পয়েন্টে ফের গুলি করা হয়। ৮ জুন আরো এক ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় একই পয়েন্টে। সর্বশেষ ১১ জুন একটি স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ হয়। প্রতিটি গুলিবর্ষণের ঘটনাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জলসীমায় ঘটেছে। গুলিবর্ষণের এসব ঘটনায় হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দ্বীপে খাদ্যসঙ্কট ও জরুরি আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।