সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির কাজ করছে জামায়াতে ইসলামী : ডা: তাহের
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩০
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, দেশ ও জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দেয়ার জন্য চাই কিছু সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব। জামায়াতে ইসলামী একদল সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বসম্পন্ন কর্মী বাহিনী তৈরির আহ্বানে সাড়া দেয়। জামায়াত এ দেশে জনগণের অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অতীতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। তাই জামায়াতের তৈরি করা নেতৃত্ব দেশের মানুষ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনগুলোতে তাই প্রমাণিত হয়েছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের জনগণের ভোটাধিকার আদায়, দুর্নীতিমুক্ত এবং অসৎ নেতৃত্ব উৎখাত করে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য অতীতের ন্যায় আরো বেশি ত্যাগ কোরবানি পেশ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
গতকাল জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত রুকন শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম এবং জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। শিক্ষাশিবির সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগর নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মহানগর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার ও মুহাম্মদ উল্লাহ, নগর কর্মপরিষদ সদস্য ডা: ছিদ্দিকুর রহমান, নগর কর্মপরিষদ সদস্য এস এম লুৎফুর রহমানসহ থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবুন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও জান্নাত লাভের জন্য জান ও মালের কোরবানি পেশ করতে হবে। বাইয়াত গ্রহণকারীরাই রুকন। রুকন শব্দের অর্থ বেচাকেনা, ক্রয়বিক্রয়, সংকল্প ও চুক্তি। তিনি বলেন, ধনসম্পদ, জানমালের আসল মালিক আল্লাহ। মানুষের নিকট তা আমানত রাখা হয়েছে। আল্লাহ প্রদত্ত আমানত যথাযথ চুক্তির মাধ্যমে জান্নাতের বিনিময়ে আল্লাহর নিকট বিক্রি করার নামই হলো বাইয়াত বা শপথ। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের জন্য জান ও মাল কোরবানির নামই হলো রুকনিয়াত। এই ত্যাগ ও কোরবানির মাধ্যম হলো জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রুকনদের ওপর কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তায়। বাতিলের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি, একাগ্রতার সাথে নামাজ ও বেশি বেশি নফল ইবাদত করতে হবে। প্রতি রাতে আল্লাহর নিকট ধরনা দিতে হবে। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি সাহায্য চাইতে হবে।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, আমাদের জীবনে পরীক্ষা, বালা মুসিবত আসবে। তা মোকাবেলা করে সফলকাম হতে হবে। বিপদের সময় মুনাফিকরা হারিয়ে যায়। বিজয় দেখলে এগিয়ে আসে। বিপদ মুসিবত মোকাবেলায় ধৈর্য্য ও তাওয়াককুল অবলম্বন করতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ওপর জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতন চলবে। আমাদেরকে ধৈর্যের সাথে সর্বোচ্চ জানমালের কোরবানি পেশ করে করতে হবে। তাহলেই আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের হিংসা বিদ্বেষ পরিহার করতে হবে। আখেরাতমুখী জীবনযাপন, সর্বাবস্থায় বিনয়ী ও ভদ্র ব্যবহার, মানোন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা এবং সংগঠনের অভ্যন্তরে জান্নাতি পরিবেশ তৈরি করতে হবে। দুনিয়ার স্বার্থ ত্যাগ করে আখেরাতের কল্যাণে চিন্তা করতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমাদের আমল আখলাক ও জীনব গঠন নবী ও সাহাবায়ে কেরামগণের মতো হতে হবে। শপথের কর্মীদের জানমাল আল্লাহর নিকট সোপর্দ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে খুলুছিয়াতের সাথে কাজ করতে হবে। জিহাদ সম্পর্কে কুরআন ও সুন্নাহ থেকে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে হবে। দেশের জনগণ আজ চরম ভোগান্তির শিকার। জালিম সরকারের রোষানল থেকে জনগণকে উদ্ধার করতে হবে। দেশের বর্তমান নাজুক পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা