ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা শুরু আজ
- ধামরাই (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:২৯
আজ রোববার (৭ জুলাই) শুরু হচ্ছে ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসব। প্রতি বছর রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয় তিথীতে। উল্টো রথযাত্রার পর আটদিন পর আগামী ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। এই রথযাত্রা একেক অঞ্চলে একেক নামে পরিচিত। ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাইয়ের রথযাত্রা শ্রী শ্রী যশোমাধবের রথযাত্রা নামে উপমহাদেশে বিখ্যাত। ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের মহেশ্বের রথের মতো শ্রী শ্রী যশোমাধবের রথমেলা বিখ্যাত। শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার প্রচলন পরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে রথযাত্রার ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। বাংলাদেশেও রথযাত্রা হিন্দুদের একটি পবিত্র উৎসব। আজ থেকে ৩৫২ বছরের ঐতিহ্যবাহী ধামরাইয়ের রথযাত্রা উৎসব ও মেলা শুরু হয়। ধামরাইয়ের রথযাত্রা ও মেলা ইতিহাস প্রাচীন। এখানে রয়েছে মাধবমূর্তি। ধামরাইয়ে মাধবমূর্তিকে কেন্দ্র করে চলে আসছে ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা ও মেলা। বাংলা ১০৭৯ সালে থেকে এ অঞ্চলে রথযাত্রা ও মেলা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। বাংলার পাল বংশের শেষ রাজা যশোপাল এ মাধবমূর্তি উদ্ধার করেন। যশোপাল একজন প্রজাবৎসল ও ধার্মিক রাজা ছিলেন। তিনি এ অঞ্চলে প্রজাসাধারণের জন্য উৎসবের সূচনা করেন।
এবারে ধামরাইয়ের রথযাত্রা উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, স্থানীয় এমপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমদ, ভারতের হাই কমিশনার শ্রী প্রণয় কুমার ভার্মা, ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো: আসাদুজ্জামান, ধামরাই পৌরমেয়র গোলাম কবির মোল্লা, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো: আব্দুল্লা আল মামুন, এসি ল্যান্ড প্রশান্ত কুমার বৈদ্য ধামরাই থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ, যশোমাধব মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজীব প্রসাদ সাহা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন প্রমুখ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মেজর জেনারেল (অব:) জীবন কানাই দাস। রথযাত্রা ২০ দিনব্যাপী মেলা বসবে। পৌরসভা সদর এলাকাজুড়ে বসে মেলা। এ মেলায় রয়েছে নাগর দোলা, সার্কাস, কুটির শিল্প, কাঁসা-পিতল শিল্প, মৃৎশিল্প, ছোটদের খেলার সামগ্রী, শংকর , রসগোলা ও মতিপালের প্রসিদ্ধ মিষ্টি সামগ্রী সমাহার এবং বিভিন্ন সামগ্রী দোকান বসেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে দোকানিরা বসতে শুরু করছে। এ ছাড়া দূর-দূরান্ত হি›ন্দু সম্প্রদায়ের লোক তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে রথযাত্রা দেখার জন্য আসতে শুরু করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা