রংপুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মা-ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু
- রংপুর অফিস
- ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
সকালের রান্নার জন্য সবজি তুলতে গিয়ে টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে মা-ছেলেসহ তিনজন মারা গেছে। লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনা বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরের মিঠাপুকুরের শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর এলাকার।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী মজনু মিয়া ও নুরুল আলম জানান, সকালে আমরা বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। ধাপ উদয়পুর এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম (৫৫) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির পেছনে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনার ওপর মই বসিয়ে উপরে উঠে লাউয়ের সবজি পাতা কাটছিলেন। এ সময় ঢাকনা দুর্বল হওয়ায় মইসহ টয়লেটের ভিতরে পড়ে যান দেলোয়ারা। তার চিৎকারে ছুটে আসে ছেলে ইদা মিয়া (৩৫) । টয়লেটের গর্তে নেমে মাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে সেও তলিয়ে যেতে থাকে। তাদের দু’জনের চিৎকারে সেখানে ছুটে এসে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালান প্রতিবেশী তবারক হোসেনের ছেলে ইবনুল মিয়া (৩২) । কিন্তু তারা কেউই সেখান থেকে উঠতে পারছিলেন না। খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।
উদ্ধার এবং প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক বাদশা মাসুদ আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা দেড় ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে তিনজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। রশি দিয়ে লাঠি নামিয়ে পানি ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে আমরা তাদের উদ্ধার করি। যেহেতু ট্যাংকের ভেতরে অক্সিজেন জিরো। কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসে ভরপুর ছিল সে কারণে খুব রিস্ক ছিল আমাদের। সে কারণে এক্সক্লুসিভ দিয়ে সেখানে অক্সিজেন পুশ করে রানিং ব্লয়ারের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করেছি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রংপুর অঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে টয়েলেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে এই ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। ঘটনাস্থলে সেপটিক ট্যাংকটিও ছিল দুর্বল এবং অপরিকল্পিতভাবে তৈরি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা