বাঘায় আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আদালতে মামলা
- রাজশাহী ব্যুরো
- ২৯ জুন ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এবার আদালতে মামলা হয়েছে। আবুল কালাম (৩৫) নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ২২ জুন ঘটনার দিনই তাদের পক্ষ থেকে বাঘা থানায় মামলা করতে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাদের মামলা নেননি। ওসি আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাই বাধ্য হয়ে ঘটনার পাঁচ দিন পর আদালতে মামলা দায়ের করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম মামলা না নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। গণমাধ্যমকে বলেন, মামলা না নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আদালতের বিচারক তাদের মামলার আবেদনটি গ্রহণ করেছেন। একইসাথে তা এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য বাঘা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামি হিসেবে বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমানসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঘা উপজেলা সদরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী ও পথচারী আহত হন। তাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাকে ওই দিনই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। এরপর ২৬ জুন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তাদের বেশির ভাগই স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলমের অনুসারী। তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের একটি অংশ। আর আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশের নেতাকর্মীরা রয়েছেন বাঘা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্কাছ আলী এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলুর নেতৃত্বে। নিহত আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল ছিলেন স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলমের অনুসারী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা