শিশুদের ত্বকের যতেœ যা করবেন
- ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০৫
শিশুদের বিশেষ করে নবজাতকদের ত্বক এমনিতেই বেশ সংবেদনশীল হয়ে থাকে। তাই তাদের ত্বকের যতেœ মেনে চলুন এসব বিষয় -
১. নবজাতকের বয়স ১৫ দিন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের তেল, লোশন বা পাউডার লাগানো ঠিক নয়। ১৫ দিন বয়স পার হওয়ার পর শিশুর ত্বকে অলিভ অয়েল লাগানো শুরু করতে পারেন। তবে সেটিও দিনে এক থেকে দুইবারের বেশি নয়। অলিভ অয়েলের তেলের বদলে নারকেল তেলও লাগানো যেতে পারে।
২. শিশুকে জন্মের তিন দিনের মধ্যে গোসল করানো ঠিক নয়। যেসব শিশু পূর্ণ গর্ভকাল পেরিয়ে জন্মেছে, তাদের এক দিন পরপর গোসল করানো যেতে পারে। তবে যেসব শিশু পূর্ণ গর্ভকাল পার হওয়ার আগেই জন্মেছে অথবা যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম, তাদের সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন গোসল করাতে হবে। গোসলের আগে বা পরে তেল মালিশ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
৩. শীতে নবজাতকের চুল কাটা একেবারেই উচিত নয়। মূলত জন্মের ২ থেকে ৩ মাস পার হলে চুল কাটানো উচিত।
৪. শিশুর জন্মের ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে কিছু র্যাশ উঠতে দেখা যায়। এটিকে অনেকে মাসি-পিসি রোগ বলে থাকেন। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ধীরে ধীরে এই র্যাশ ভালো হয়ে যায়।
৫. জন্মের কিছু দিন পর নবজাতকের ত্বকে একধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে দেখা যায়। নবজাতকের ত্বকে ছোট ছোট গোটা (যেগুলোতে পুঁজ জমে থাকে) দেখা দিলে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন, এ সমস্যার চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে পরবর্তী সময়ে পুরো শরীরে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে গিয়ে শিশু মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
৬. নাভি পাকলে অর্থাৎ নাভি থেকে পুঁজ পড়লে, দুর্গন্ধ ছড়ালে কিংবা নাভির চারপাশ লাল হয়ে গেলে চিকিৎসা নিতে দেরি করবেন না। নাভিতে এমন মারাত্মক সংক্রমণ এড়াতে শিশুর জন্মের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একবার ৭.১% ক্লোরহেক্সিডিন দ্রবণটি নাভিতে লাগিয়ে দিতে হয়।
২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ত্বকের যতœ
১. এই বয়সের শিশুদের প্রতিদিন গোসল করানোর প্রয়োজন নেই। এক দিন পরপর গোসল করালেই শিশুর ত্বক ভালো থাকবে।
২. শিশুর গোসলের জন্য স্বাভাবিক বা কুসুমগরম পানি ব্যবহার করুন। গোসলের পর জলপাই তেল বা শিশুর ত্বকের উপযোগী হালকা কোনো ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগিয়ে দিতে পারেন।
২ থেকে ৭ বছর বয়সের শিশুদের ত্বকের যতœ
১. বাইরে গিয়ে খেলাধুলা শুরু করা এবং অন্যদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনের উপযুক্ত সময় এটি। তাই প্রতিবার খেলা শেষে এবং বাইরে থেকে ফেরার পর অবশ্যই হাত-পা পরিষ্কার করিয়ে দিন।
২. খেলার সময় শিশু ঘেমে যাচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ঘাম হলে বা গরম লাগলে ভারী পোশাক খুলে দিন এবং নরম কাপড় দিয়ে ঘাম মুছে দিন।
৩. শিশুকে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। গোসলের সময় সাবানও ব্যবহার করা যাবে, তবে সাবানটি হতে হবে শিশুর ত্বকের উপযোগী।
৪. গোসলের পর ভালোভাবে মাথা ও শরীর মুছে শিশুদের উপযোগী লোশন লাগিয়ে দিন।
৮ থেকে ১২ বছরের শিশুর ত্বকের যতœ : এই বয়সী শিশুরা সাধারণত নিজের যতœ নিতে শিখে যায়। ঘেমে গেলে শরীর মুছে নেয়া বা ভারী কাপড় খুলে ফেলা, কুসুম গরম পানিতে গোসল করা, গোসলের সময় সাবান ব্যবহার করা, ত্বকের উপযোগী লোশন বা জলপাই তেল লাগানোর মতো কাজগুলো শিশুকে নিজেই করতে অভ্যস্ত করুন। ইন্টারনেট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা