১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
৩ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

মোবাইল ফোনের জন্য সহপাঠীকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা

-

গাজীপুরে নবম শ্রেণীর চার শিক্ষার্থী একটা মোবাইলের জন্য তাদের সহপাঠীকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আহত স্কুলছাত্র মোহাইমেনুল ইসলাম মাহির (১৪) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের দুইজন গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের এবং অপরজন গাজীপুর আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় জড়িত গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের নবম শ্রেণির আরেক ছাত্র পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপর দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: কামরুল ইসলাম ও ভিকটিমের মা ফারিজা আখতার জানান, গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র মোহাইমেনুল ইসলাম মাহির একটি মোবাইল ফোন সম্প্রতি স্কুল থেকে খোয়া যায়। গত ২৪ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় মাহির তিন সহপাঠী খোয়া যাওয়া ওই মোবাইল ফোনের সন্ধান দিতে মাহিকে তাদের স্থানীয় পশ্চিম চতর স্কুলগেটের বাসা থেকে ডেকে নেয়। পরে তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মারিয়ালী কলাবাগান পাগলার মাঠ নামক স্থানে নেয়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল তাদের আরেক সহযোগী গাজীপুর আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র (১৫)। ওই মাঠে তারা সবাই মিলে মাহির সাথে থাকা স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে মাহির অভিযোগে তাদের সমস্যা হতে পারে ভেবে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা মাহিকে ধরে মারিয়ালী কলাবাগান বিথীকা আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত ভেবে সেখানে ফেলে রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় কয়েক যুবক ওই ভবনে গিয়ে মাহিকে অজ্ঞান ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত হাসপাতালে নেয়। মাহির বর্তমানে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছে। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ভিকটিম মাহির মা ফারিজা আখতার বাদি হয়ে জিএমপি সদর থানায় নবম শ্রেণীর ওই চার শিক্ষার্থীর নামে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে জিএমপি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করীম বলেন, ভিকটিমের অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে আরো ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। মোবাইলফোন ছাড়া আরো অন্য কোনো বিষয় থাকলে তদন্ত করে তাও বের করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement