বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ড
একজনের লাশ উদ্ধার- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ও ফতুল্লা সংবাদদাতা
- ২৭ জুন ২০২৪, ০০:৫৯
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে নোঙর করা তেলবাহী জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। তেলের ড্রামভর্তি জাহাজে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ সময় তেলের ড্রামগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের মসজিদ, বাসাবাড়ি, সংলগ্ন থানা ও আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট দেড় ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ওই জাহাজ থেকে একজনের পোড়া লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। আরো দুইজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই জাহাজের ভেতরে থাকা চারজনের মধ্যে একজন নদীতে ঝাঁপ দেন। আহতাবস্থায় তিনি নদীর পাড়ে উঠতে পারলেও বাকি তিনজন নিখোঁজ হন। পরে তাদের একজনের পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিক কারো নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার বেলা দেড়টায় ফতুল্লায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বেলা ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আজম মিয়া।
মেঘনা ডিপোর ডিএস জিয়াউর রহমান জানান, ভোলার মনপুরা যাওয়ার জন্য ৮৬ ড্রাম পেট্রল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ভর্তি জাহাজ বুড়িগঙ্গার তীরে নোঙর করা ছিল। দুপুরে ওই জাহাজের চারজন শ্রমিক রান্না করার সময় আগুন ধরে যায়। পরে তেলভর্তি ড্রামগুলো একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে। এতে দেখা দেয় আতঙ্ক। চারজন শ্রমিকের মধ্যে একজন নদীতে লাফ দিয়ে পড়ে যায়। বাকি তিনজনের মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। বাকি দুই শ্রমিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা ইতোমধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করেছি। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ফতুল্লা বাজারের পাশে একটি জাহাজে আগুন লাগে। বেলা ১টা ৩২ মিনিটে তারা আগুনের খবর পায়। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ১টা ৩৮ মিনিটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করছে। এর মধ্যে ফতুল্লা ফায়ার স্টেশনের দু’টি, পাগলা স্থল কাম নদী ফায়ার স্টেশনের দু’টি, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের দু’টি, হাজীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের একটি ও সদরঘাট নদী স্টেশনের একটি ইউনিট ছিল।
ঘটনাস্থলে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আমরা ডিপোর সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি। আমরা যতটুকু জেনেছি ট্রলারটিতে ডিজেল ও পেট্রল লোড করা ছিল। এ সময় তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে চারজন শ্রমিক রান্না করছিল বলে শুনেছি। হয়তো সেখানে থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা