১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
হেলথ টিপস

শাক খাওয়ায় সতর্কতা

-

ঋতুর ভিন্নতার কারণে আমাদের খাদ্যে বৈচিত্র্য বেশি। এখানে ছয় ঋতুতে আলাদা আলাদা খাদ্যের উপকরণ পাওয়া যায়। এগুলোর প্রতিটিই পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ। এসব খাবার প্রতিটি ঋতুতে আমাদের শরীরকে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। অন্য সব ধরনের খাবারের পাশাপাশি বর্ষায় শাকসবজিতেও বৈচিত্র্য আসে। এ সময় পটোল, ঢেঁড়স, করল্লা, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, বরবটি, চালকুমড়া, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, কচুশাক, কলমিশাকসহ অনেক শাকসবজি পাওয়া যায়। এগুলো আমাদের শরীরের সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে।
বর্ষাকালে এমনিতেই পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেশি থাকে। এ সময় আবহাওয়া স্যাঁতসেঁতে হওয়ার কারণে শাকসবজির মাধ্যমেও কিছু রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে।
শাকে কী সমস্যা হতে পারে : বর্ষাকালে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজাতীয় জীবাণুর আধিক্য বেশি থাকে। এদের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া বর্ষাকালে বিষাক্ত পোকামাকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এসব পোকামাকড় শাকের কাণ্ড ও পাতায় বাসা বাঁধে এবং ডিম পাড়ে; বিশেষ করে যেসব শাকের গাছ মাটির খুব কাছাকাছি থাকে, সেগুলো খেলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন লালশাক, মাচা ছাড়া পুঁইশাক, কলমিশাক, কচুশাক, সবুজ শাক, বর্ষাকালীন পালংশাক, পাতাকপি প্রভৃতি। বর্ষাকালে এগুলো থেকে হতে পারে ডায়রিয়া ও খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা।
পুঁইশাকের পাতা সারকোস্পোরা বেটিকোলা নামের ছত্রাকে আক্রান্ত হয়। বৃষ্টির পানিতে এর বিস্তার ঘটে দ্রুত। এমন আক্রান্ত পাতাযুক্ত পুঁইশাক খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া পুঁইশাকের কাণ্ড পচা রোগও বর্ষায় বৃদ্ধি পায়। সেই ব্যাকটেরিয়া শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
কলমি ও লালশাকের ছত্রাকজনিত পাতার রোগ, কলমিশাকের পাতার দাগ রোগ- সব কিছু বর্ষাকালে বৃদ্ধি পায়। এসব রোগের কারণে শাকগুলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায়। কচুশাকে বিভিন্ন রকমের পোকামাকড়ের প্রকোপ বাড়ে এ সময়। এসব শাকে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণের পাশাপাশি বিভিন্ন পোকামাকড় ডিম পেড়ে বংশবিস্তার করে।
বর্ষাকালীন পাতাকপি হতে পারে আরো বিপজ্জনক। প্রতিটি পাতার ভাঁজে ভাঁজে বৃষ্টির পানি জমে যেতে পারে। সেখানে খুব সহজে অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকসহ ছোট ছোট পোকামাকড় বংশবিস্তার করতে পারে। ডাঁটাশাকের পাতা মাটি থেকে বেশ ওপরে থাকে বলে কিছুটা নিরাপদ। তবে এর কাণ্ড পচা রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। তাহলে কি বর্ষায় শাক খাওয়া যাবে না? অবশ্যই খাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
যা করতে হবে : কেনার সময় দাগহীন পাতাযুক্ত শাক কিনতে হবে। প্রয়োজনে নিজেদের ছাদবাগান বা বাড়ির উঠানে শাকের চাষ করে ভালোমতো পরিচর্যা করতে হবে। কিছু আক্রান্ত পাতা থাকতেই পারে। সেগুলো বেছে ফেলে দিতে হবে। রান্নার আগে লবণ বা ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে শাক ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। কাঁচা বা আধা সেদ্ধ শাক খাওয়া যাবে না। ইন্টারনেট।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল