১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অভিবাসীদের স্থানান্তরে রাষ্ট্র খুঁজছে জার্মানি

-

উপচে পড়া অভিবাসীদের স্থানান্তরের জন্য রুয়ান্ডার সাথে চুক্তি করেছে ব্রিটেন। সেই চুক্তির আওতায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর কাজও শুরু হয়েছে। সম্প্রতি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপে বিপর্যস্ত অপর দেশ ইতালিও ইতোমধ্যে পূর্ব ইউরোপের দেশ আলবেনিয়ার সাথে অভিবাসী স্থানান্তরের চুক্তি করেছে। এবার এই পথে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানিও। ডয়চে ভেলে।
ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ জানিয়েছেন, দেশটিতে আগত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য সহযোগী রাষ্ট্রের খোঁজ করছে জার্মানি। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি ও আশ্রয়প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার কাজও শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানী বার্লিনে জার্মানির ১৬টি প্রদেশের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন শুলজ। বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে অভিবাসীদের স্থানান্তর সংক্রান্ত চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করা হবে, তারপর এ সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাব প্রস্তুত করে ১৬ প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার প্রধানদের মতামত নেয়া হবে।’
‘তারা মতামত জানানোর পর প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করে আমরা সহযোগী রাষ্ট্রের খোঁজার চেষ্টা করব। আমাদের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।’ অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্থানান্তরের জন্য অন্য দেশের সাথে চুক্তিস্বাক্ষরকারী দেশ ব্রিটেন। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রথম এ সংক্রান্ত তৎপরতা শুরু করে এবং পার্লামেন্ট ও আইনী বাধা ডিঙিয়ে ২০২৩ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার সাথে চুক্তিও করে। ইতোমধ্যে অভিভাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানো শুরু করেছে লন্ডন।
চলতি বছর আলবেনিয়ার সাথে অভিবাসন সংক্রান্ত চুক্তি করেছে ইতালি। তবে এখনো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সেখানে পাঠানো শুরু করেনি দেশটি। এই দুই মডেলই খতিয়ে দেখা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন শুলজ। তবে জার্মানির সরকার আদৌ এমন কোনো দেশ খুঁজে পাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দেশটির অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা। অন্য দেশের সাথে এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরে জার্মানির অনেক রাজনীতিবিদেরও আপত্তি রয়েছে। দেশটির নিডারজাক্সেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্টেফান ভাইল ইতোমধ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণকে প্রশ্ন তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement