পাবনায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

পাবনার সুজানগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে আল আমিন মিয়া (৩৮) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রানিনগর ইউনিয়নের রানীনগর ক্লাবের সামনে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
নিহত আল আমিন উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের মৃত শহিদুর রহমান মিয়ার ছেলে। তিনি রানীনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে গত ৯ মে সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওহাব ও সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে রানীনগরে বেশ কিছু দিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর আগে কয়েকবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যুবলীগ নেতা (শাহীনুজ্জামান শাহীন গ্রুপের) আল আমিন আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলে বাড়িতে আসছিলেন। পথে রানীনগর ক্লাবের সামনে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সুজানগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার রাজু আহমেদ বলেন, আল আমিন মিয়া রানীনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য। তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই।
আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলতে পারব।