সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে জামায়াত সেক্রেটারির ফুডপ্যাক বিতরণ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২২ জুন ২০২৪, ০৩:১৬
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আকস্মিক ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত সুনামগঞ্জবাসীর এই দুর্যোগে আমরা মর্মাহত। সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যে শুরু থেকেই জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তি কাজ করছে। সমাজের সামর্থ্যবান মানুষকে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। বিপদ মুসিবত সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। তাই কঠিন বিপদে বেশি করে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার দিনভর সুনামগঞ্জ পৌরসভার মোহাম্মপুর এলাকার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে, সদর উপজেলার লক্ষ্মণশ্রী ইউনিয়নের হালুয়ারগাঁও গ্রামে, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলাবাজার ও ছাতক উপজেলার কালারুকা এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত স্থান পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী (ফুডপ্যাক) বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি দিনভর বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদান করেন। একই সাথে জামায়াতের পক্ষ থেকে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পৃথক ফুডপ্যাক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট শামস উদ্দীন, সেক্রেটারি মমতাজুল হাসান আবেদ, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুস সালাম আল মাদানী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল কাদির শিহাব, ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ, সাবেক সভাপতি মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মনিরুজ্জামান পিয়াস, জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট রেজাউল করীম, সুনামগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমদ, সদর উপজেলা আমির অ্যাডভোকেট আবুল বাশার, ছাতক উপজেলা আমির মাওলানা আকবর আলী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আমির হাফিব আবু খালেদ ও জামায়াত নেতা মাওলানা মখছুছুর রহমান প্রমুখ।
গোলাম পরওয়ার বলেন, সরকারি ত্রাণতৎপরতার অপ্রতুলতায় বন্যার্তদের দুর্ভোগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের সবুজ ভূখণ্ডে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়দীপ্ত মজলুম সংগঠন জামায়াত শুরু থেকে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সীমাহীন জেল-জুলুম-নির্যাতন, নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা, হামলা-মামলা সত্ত্বেও জামায়াত আর্তমানবতার কল্যাণে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমরা সুদূর ঢাকা থেকে সাধ্যমতো উপহারসামগ্রী নিয়ে এসেছি। আমরা বাংলাদেশী, আমরা ভাই ভাই। তাই আপনাদের এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে দূরে থাকতে পারিনি। বিবেকের টানে মানবতার আহ্বানে সাড়া দিতেই আপনাদের পাশে এসেছি। এই ফুডপ্যাক কোনো করুণা নয়, বরং ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের দায়িত্বের অংশ। বন্যার এই বিশাল ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা হাওরপাড়ের মানুষের জন্য খুবই কঠিন। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসতে হবে। জামায়াত যেকোনো দুর্যোগে অতীতেও জনতার পাশে ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশা আল্লাহ।
বগুড়া : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চল পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ইউনিয়ন আমির ও সেক্রেটারিদের ব্যাপকভিত্তিক দাওয়াতি কাজ করতে হবে। দাওয়াতি কাজের মাধ্যমে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। সব ইউনিটকে সক্রিয় করতে হবে। সব সেক্টরে দাওয়াতি কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমাজের প্রভাবশালী লোকদের টার্গেট করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে। সংগঠনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। নিজের মতকে কোরবানি করে অধিকাংশের মতকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না। সিসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠনের সিদ্ধান্ত আঞ্জাম দিতে হবে। সংগঠনের নিঃস্বার্থ আনুগত্য করতে হবে। সংগঠনের মধ্যে জান্নাতি পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আমাদের সব কাজের মূল উদ্দেশ্য হলো মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জন।
জামায়াতে ইসলামী বগুড়া পশ্চিম জেলা শাখার উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার আয়োজিত ইউনিয়ন আমির বা সেক্রেটারি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হক সরকারের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মো: মনজুরুল ইসলাম রাজুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ আবু হাসিব। আরো বক্তৃতা করেন, বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, মাওলানা মমতাজ উদ্দিন অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, মাওলানা আবদুস শাহীদ, মো: মনছুর আলী, অধ্যাপক আবদুল হালিম প্রমুখ।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, শপথের জনশক্তি হিসেবে রুকনদেরকে সংগঠনের অর্পিত দায়িত্ব পালনে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। দায়িত্ব পালনের জন্য যোগ্যতার বিকাশ ঘটানো অপরিহার্য। আদর্শ সমাজ গঠনে রুকনদের ভূমিকা পালন করতে হবে। নিয়মিত কুরআন-হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়নের মাধ্যমে ইলমি যোগ্যতা বৃদ্ধি করতে হবে। রুকনদের বার্ষিক পাঠসূচি অনুসরণে যতœশীল হতে হবে। মৌলিক ইবাদত বিশেষ করে সালাত আদায়ে একনিষ্ঠ হতে হবে। আমল-আখলাক ও মোয়ামেলাতের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন হতে হবে। আদর্শ পরিবার গঠনে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। স্বাভাবিক ও অনাড়ম্বর জীবন গঠনে অভ্যস্ত হতে হবে। সংগঠনের আনুগত্য ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রুকনদেরকে মডেল হতে হবে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা জামায়াত আয়োজিত রুকন শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা আমির মাওলানা আবদুল আলিমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের টিম সদস্য জাফর সাদেক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা