১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মামলা তদন্তে কোনো চাপ নেই, স্বাধীনভাবে কাজ করছে পুলিশ

-

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ড এবং অপহরণ মামলা তদন্ত স্বাধীনভাবে করার জন্য পুলিশের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনায় পুলিশ কোনো ধরনের চাপ না নিয়ে সঠিকভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল ডিএমপি সদর দফতরে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, এমপি আনার হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত সঠিকভাবে এগিয়ে চলছে। তদন্তে কারো হস্তক্ষেপ বা কোনো চাপ নেই। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেফতারের বিষয়ে কোনো চাপ বা এ বিষয়ে কোনো তদবির আসছে কি না? জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তদন্ত সঠিকভাবে এগিয়ে চলেছে। এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্ত যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সে জন্য আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ নেই। স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে নিহত আজিমের মেয়ে ডরিনের অভিযোগ ছিল উপর মহলের চাপে মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করতে দেয়া হচ্ছে না। টেলিফোনসহ নানা মাধ্যমে তদন্তকে প্রভাবিত করা হচ্ছে।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা: আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো: আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, চামড়া ব্যবসায়ীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমপি আনারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেফতার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বর্তমানে আট দিনের রিমান্ডে আছেন। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনের সঙ্গে মিন্টুর যোগাযোগ, শিমুল ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম আসা, তার আগে থেকে আনারের সঙ্গে মিন্টুর দ্বন্দ্ব এসব বিষয় সামনে এনে ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজছেন গোয়েন্দারা।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের প্রথমে গ্রেফতার হন আমানউল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, সিলাস্তি রহমান ও তানভীর ভূঁইয়া। সম্প্রতি হঠাৎ করে রাজনৈতিক বিষয় সামনে চলে আসায় গ্রেফতার হন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতের কলকাতায় যান এমপি আনার। ওঠেন বরাহনগর থানার গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। এরপর গত ২২ মে কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামের একটি আবাসিক ভবনে এমপি আনার খুন হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়।


আরো সংবাদ



premium cement