১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
ঢামেক পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সাংবাদিকদের তাদের মতো কাজ করতে দিন

-

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার বা বক্তব্য দিতে পারবেন না হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আসাদুজ্জামানের এমন নোটিশ জারির পর তাকে ডেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সাংবাদিকদের তাদের মতো কাজ করতে দিন। তাদের সাথে যেন বৈষম্য বা বিবাদ না হয়। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: রোকেয়া সুলতানা। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
ঢামেক পরিচালকের নোটিশের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সকালে পরিচালককে ফোন করেছিলাম, জানতে চেয়েছি কেন এ রকম ঘটনা হচ্ছে। আমার কাছে কিছু রং ইনফরমেশন আসছে। পরিচালক আমাকে বললেন, স্যার আপনার সাথে আমি দেখা করব। তিনি কিছুক্ষণ আগে আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাকে বলেছি, দেখেন সাংবাদিকদের তাদের মতো কাজ করতে দিন। এখানে যেন কোনোরকম বৈষম্য বা কোনোরকম বিবাদ না হয়। এটা আমি তাকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি।
ওষুধের দাম যেন না বাড়ে সে ব্যাপারে একবার নয়, কয়েকবারই বলেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন। ইচ্ছেমতো ওষুধের দাম না বাড়াতে সম্প্রতি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। ওষুধের দাম বাড়ানো বা না বাড়ানোর বিষয়ে আদালতকে নির্দেশনা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এটার ব্যাপারে একটা বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। সেটা এ মুহূর্তে এখানে বলব না। আমি একবার না কয়েকবারই বলেছি ওষুধের দাম যেন না বাড়ে। সরকার যে খুচরামূল্য বেঁধে দিয়েছে এর বাইরে গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি বলেছি। এটা আমি আরো গুরুত্ব সহকারে দেখব।

সরকার কোটি কোটি টাকা দিয়ে মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি কিনছে। কিন্তু সেগুলো সংরক্ষণ বা পরিচালনার জন্য বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো পদ নেই। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, যন্ত্রপাতি কেনার ব্যাপারে আমাদের একটা নীতি যেটা আমরা ঠিক করেছি যন্ত্রপাতি আমি সেগুলোই কিনব যেগুলো চালানোর মতো লোক আছে।
আমাকে একজন প্রশ্ন করল, এক জায়গায় ডিজিটাল এক্সরে মেশিন গেছে কিন্তু সেখানে চালানোর মতো লোক নেই। এ ধরনের পদক্ষেপ আমি নেব না। আমি আগে দেখব ওই জায়গায় যে ডিমান্ড আসবে ওই হাসপাতালে ওই যন্ত্র চালানোর মতো কোনো লোক আছে কি না। যদি থাকে তবে আমি কিনব, না হয় কিনব না।
ডা: সামন্ত লাল সেন বলেন, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। আমি আমার যে হাসপাতাল তৈরি করেছি, সেখানেও একটা পোস্ট রেখেছি বায়োমেডিক্যাল, আমরা এ বিষয়ে কাজ করব।
সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি এবং অবহেলা সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী। সিলেটে কয়েকজনকে কর্মস্থলে না পেয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, চিকিৎসা এমন একটি বিষয়, চিকিৎসায় নেগ্লেজেন্সি কিংবা চিকিৎসায় গাফিলতি করলে একটা মানুষের জীবন চলে যায়। সুতরাং এখানে দুইবার চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। অতএব এ ব্যাপারে কোনো গাফিলতি বা কোনো নেগ্লেজেন্সি আমি সহ্য করব না।

 


আরো সংবাদ



premium cement