ফার কমায় ভবনের উচ্চতা ও আয়তন কমে সমস্যা বাড়িয়েছে : রিহ্যাব
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১০ জুন ২০২৪, ০১:০৫
ডলার সঙ্কট, নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি আবাসন শিল্পে নানা সঙ্কট তৈরি করেছে। ফলে ফ্ল্যাটের সরবরাহ কমেছে, বেড়েছে দাম। আবাসিক এলাকার ফার-এর মান হ্রাসের কারণে ভবনের উচ্চতা এবং আয়তন কমে যাওয়ায় এই সেক্টরে সঙ্কট আরো ঘনীভূত হয়েছে। এই খাতে পর্যাপ্ত আর্থিক ঋণপ্রবাহ না থাকা এবং পর্যাপ্ত নীতি সহায়তার অভাবে মানুষের বাসস্থানের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। আবার আবাসন খাতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ব্যাংকের সুদ হার বৃদ্ধি।
গতকাল রোববার রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট পাসের আগে আবাসন শিল্পের নানা সঙ্কট নিরসন ও জমি এবং ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ব্যয় ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানানো হয়। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২০২৫’ সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো: ওয়াহিদুজ্জামান বর্তমানে রেজিষ্ট্রেশন ব্যয় অত্যধিক উল্লেখ করে রিয়েল এস্টেট খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি পরিবর্তন করার অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ সাবেক এমপি লায়ন এম এ আউয়াল, ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) আবদুর রাজ্জাক, ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন এবং রিহ্যাব পরিচালক ও প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ্ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, বাজেটে যে প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে তা সম্ভব হবে, যদি আবাসন সেক্টরসহ উৎপাদনমুখী খাতগুলো সচল ও গতিশীল থাকে। জমি এবং ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ব্যয় কম হলে ক্রেতারা ফ্ল্যাট কেনায় উৎসাহিত হবেন বলে মনে করছে রিহ্যাব।
অর্থনীতিতে আবাসন সেক্টরের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গৃহায়ন শিল্প প্রতি বছর প্রবাসী বাংলাদেশীদের থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। গত কয়েক বছর যাবৎ আবাসন শিল্প নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে। অতিমাত্রায় করারোপ ও সরকারের নীতি সহায়তার অভাবে ক্রমেই দেশের আবাসন খাত মারাত্মক সঙ্কটে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, বৃহৎ আবাসিক এলাকার প্রজ্ঞাপনকৃত ড্যাপে ফার-এর মান কমায় ভবনের উচ্চতা এবং আয়তন কমেছে। ফলে এই সেক্টরে সঙ্কট আরো ঘনীভূত হয়েছে। তাই বাজেট চূড়ান্তভাবে পাস করার আগে পাঁচ বছরের পুরনো ফ্ল্যাট ৪ শতাংশ হারে রেজিষ্ট্রেশন ব্যয় নির্ধারণ করার সুবিধা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রীর মূল্য হ্রাস, ভ্যাট অফিসের হয়রানি বন্ধ, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের আবাসন সুবিধা সহজলভ্য করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা চালু করারও প্রস্তাব করেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা