সব অফিস আদালতে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর নিশ্চিত করতে রুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
দেশের সব অফিস আদালতে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর বা ই-সিগনেচার ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন।
একই সাথে আইন অনুযায়ী ই-সিগনেচার বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মানবাধিকার সংস্থ্যা ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব)। এর আগে গত ১ এপ্রিল দেশের সব অফিস আদালতে ই-সিগনেচার চালু করতে ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলসহ আটজনকে রিটে বিবাদি করা হয়।
রিটে বলা হয়েছে, অনেক সময় অনেকে স্বাক্ষর করলেও পরে অস্বীকার করেন। তিনি প্রকৃতপক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন কি না, তা আদালতে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রমাণ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এমনকি ফেসবুকে পোস্ট করে বা ই-মেইল দেয়ার পর আইনি জটিলতা দেখা দিলে পরে অস্বীকার করেন। এ ক্ষেত্রে ই-স্বাক্ষর চালু হলে স্বাক্ষর অস্বীকার করার সুযোগ থাকবে না; কারণ যিনি স্বাক্ষর করবেন তিনি তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে তার স্বাক্ষরটি প্রদান করবেন।
ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর হলো একটি আইনি ধারণা যা ডিজিটাল স্বাক্ষর থেকে আলাদা, একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রক্রিয়া যা প্রায়ই ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও একটি ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর একটি ইলেকট্রনিক নথিতে প্রবেশ করানো নামের মতোই সহজ হতে পারে, ডিজিটাল স্বাক্ষরগুলো ই-কমার্সে এবং নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ে ক্রিপ্টোগ্রাফিকভাবে সুরক্ষিত উপায়ে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর বাস্তবায়নের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। একটি ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর একটি লেনদেনের সময় স্বাক্ষরকারীর জন্য একটি নিরাপদ এবং সঠিক শনাক্তকরণে পদ্ধতি প্রদান করার উদ্দেশ্যে।
রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এ বিষয়ে বলেন, আফিস-আদালতের অনলাইন কার্যক্রমে ই-সিগনেচার প্রদানের বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ই-সিগনেচার বাস্তবায়ন হলে অপরাধপ্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা