শিল্প রক্ষায় উদ্যোগ নেই
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ডলার সঙ্কট ও উচ্চ সুদের হারের কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি পুরো শিল্পখাত। তার ওপর ব্যাংকের উচ্চ সুদ হারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগ। অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পেছনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি তথা শিল্পখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের জিডিপিতে এই খাতের অবদান ৩৭ শতাংশ। ২০৩১ সালের মধ্যে এ খাতের অবদান জিডিপির চল্লিশ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা থাকলেও বাজেটে এর কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। গতকাল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে শিল্পখাতে ৫১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ কমিয়ে দুই হাজার ৫১০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের বাজেটে ছিল তিন হাজার ২৪ কোটি টাকা।
পুনঃ মোড়কজাতকরণ শিল্প : গুঁড়া দুধ আমদানির ক্ষেত্রে আড়াই কেজি পর্যন্ত এবং বাল্ক আকারে আমদানির ক্ষেত্রে মোট করভারের পার্থক্য অনেক বেশি থাকায় স্থানীয়ভাবে প্যাকেটকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভোক্তার কাছ থেকে অযৌক্তিক পরিমাণ মুনাফা অর্জন করছে। গুঁড়া দুধের মূল্য যৌক্তিকীকরণের অংশ হিসেবে আড়াই কেজি পর্যন্ত প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধের ওপর বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। শিল্পের কাঁচামাল মিথাইল এলকোহল বাল্ক আকারে আমদানি শিল্প ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এয়ারকন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটর উৎপাদনকারী শিল্প : রাজস্ব প্রদানে সক্ষমতা বিবেচনার স্বার্থে এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত বিভিন্ন প্রকার স্টিল শিটের আমদানি শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া একই প্রজ্ঞাপনে যেসব পণ্যে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়।
পানি পরিশোধন যন্ত্র উৎপাদনকারী শিল্প : দেশে বর্তমানে গৃহস্থালিতে ব্যবহারযোগ্য পানি পরিশোধন যন্ত্র উৎপাদিত হচ্ছে। দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার জন্য এই যন্ত্রের আমদানি শুল্ক ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
এলইডি ল্যাম্প ও এনার্জি সেভিং ল্যাপ উৎপাদন শিল্প : এলইডি এবং এনার্জি সেভিং ল্যাম্প উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত উপকরণের ওপর প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক যৌক্তিকীকরণ করে ০ এর পরিবর্তে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়।
অন্যান্য শিল্প : ল্যাপটপ দেশীয় ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করতে এবং নকল ক্রয়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে আমদানিতে শুল্ক ৫ থেকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। একই সাথে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত মুসক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।
সকল স্তরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতির অবসানের উদ্দেশ্যে শিল্পের কাঁচামাল আমদানিসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের টেবিল-১ এ ০ হারের পরিবর্তে ১ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়। প্রিফেব্রিকটেড বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়।
বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং রেন্টাল পাওয়ার কোম্পানি কর্তৃক প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত প্ল্যান্ট, ইকুইপমেন্ট ও ইরেকশন ম্যাটেরিয়াল আমদানিতে শুল্ক ০ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটিএম ও সিসি ক্যামের উৎপাদনকারী শিল্পের উপকরণের আমদানি শুল্ক ১ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়া হয়। জেনারেটর সংযোগ এবং উৎপাদনকারী শিল্পের উপকরণ আমদানি শুল্ক না থাকলেও আগামী বাজেটে ১ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা