গণতন্ত্র এখন গোরস্থানে : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা একটা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে এ দেশে বসবাস করছি। ভিন্ন মত দমন করা হচ্ছে। যারা সত্য কথা বলবেন তাদেরকে যেতে হয় কারাগারে। তাদেরকে সরকারি নিপীড়নের শিকার হতে হয়। আজকে আমাদের অনেক নেতাকর্মী হারিয়ে গেছে। তারা কোথায় আছে কেউ জানে না, তাদের পরিবারও জানে না। এভাবে অসংখ্য গুম করে, জনগণকে ত্যাজ্য করে ভোটারদের দূরে সরিয়ে রেখে নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ডামি সরকার, দখলদার সরকার ক্ষমতায় আছে। এরা গণতন্ত্রকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যেতে চায় যে গণতন্ত্র বলে এ দেশে আর কিছু থাকবে না। তাই গণতন্ত্র এখন গোরস্থানে, কথা বলার স্বাধীনতা এখন শ্মশানে, মানুষ নির্ভয়ে কোনো কথা বলতে পারে না। এ পরিস্থিতির মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে এ দেশের মানুষকে।
গতকাল বুধবার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে খাবার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আজকে সারা দেশের মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীরা যে কথা বলেন তার চার পয়সার দাম নেই। কারণ তারা একটাও সত্যি কথা বলেন না। এক বিভীষিকাময় পরিবেশের মধ্যে গোটা দেশ। গরিব মানুষ তাদের ফসলি জমি বিক্রি করে সন্তানকে বিদেশে পাঠাচ্ছেন ভালোভাবে বসবাস করার আশায়, বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাওয়ার আসায়। আজ ১৭ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি। ঘটিবাটি জমি বিক্রি করে যেতে না পেরে কেউ ভৈরব রেল সেতুতে আত্মহত্যা করেছেন, কেউ কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছেন। এটাই সরকারের অবদান। তারা গরিব মানুষকে আরো গরিব করে দিতে চায়। কারণ কেউ যাতে রুখে দাঁড়াতে না পারে।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আলুর দাম একমাস আগে ৩০ টাকা ছিল, এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। একহালি ডিম ৫৫ টাকা, পাড়া মহল্লার মধ্যে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন ডিমের দাম ১৬০ টাকা। সরকার যদি নির্বাচিত না হয় জনগণের ভোটে না হয় তাহলে সে সরকার জনগণের স্বার্থ চিন্তা করে না, কল্যাণ কামনা করে না। তারা চিন্তা করে কিভাবে টাকা পাচার করবে, কিভাবে জনগণের টাকা লুট করবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মাহবুবুল ইসলাম প্রমুখ।