১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সুরমার পানি কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারার

-


সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু এলাকায় অবনতিও হয়েছে। সিলেটের প্রধান নদী সুরমার পানি কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি। জেলা প্রশাসন থেকে প্রেরিত বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ক তথ্যে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও বিশ্বনাথ উপজেলায় নতুন করে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে অন্যান্য উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬২ জন পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। আর আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ৫৭১ জন।

পাউবো সিলেট কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সুরমা নদীপার পানি কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি। বুধবার দুপুরে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সিলেট নগরে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদীগুলোর পানিও বিপদসীমার নিচে নেমেছে।

জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, আমরা বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সব উপজেলায় আলাদা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
সিলেটে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ২৭ মে থেকে জেলার কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি উপজেলায় দেখা দেয় বন্যা। শুক্র ও শনিবার বৃষ্টি এবং উজানের ঢল থামায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে রোববার থেকে ফের সিলেটে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বেড়ে যায় নদ-নদীর পানি। মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার ১৩টির মধ্যে ৩টি (ওসমানীনগর, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) ছাড়া বাকি সব উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এ দিন জেলা ও মহানগরে ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬২ জন পানিবন্দী ছিলেন।
বুধবার জেলা প্রশাসনের দেয়া সর্বশেষ তথ্যমতে- বর্তমানে জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬৩টি ইউনিয়ন এবং ১৩ ওয়ার্ডের ৮৪২টি গ্রাম/পাড়ার ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬২ জন পানিবন্দী।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতে মোট ৫৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বর্তমানে ৪ হাজার ৫০৫ জন অবস্থান করছেন। বর্তমানে সিলেট মহানগরের ১৩ ওয়ার্ডে বন্যার পানি রয়েছে। শুরুতে অন্তত ৩০টি ওয়ার্ড পানিবন্দী ছিল। গত দুই দিন থেকে ধীরে ধীরে নামছে পানি। মহানগরে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার এসব কেন্দ্রে ৪ হাজার মানুষ আশ্রয়ে আছেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক জানান- বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সরকারি/বেসরকারিভাবে অব্যাহত রয়েছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল