এক হাটের গরু অন্য হাটে নিলে ছিনতাই মামলা : ডিএমপি কমিশনার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৫ জুন ২০২৪, ০১:১৭
ঢাকার এক হাটের গরু অন্য হাটে নিলেই ছিনতাইয়ের মামলা হতে পারে। যদি কেউ এক হাটের গরু অন্য হাটে নামিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া হাটকে কেন্দ্র করে ট্রাফিকব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দফতরে হাট ইজারাদারদের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা যে গাড়িতে গরু আনবেন তারা গাড়ির সামনে হাটের নাম লিখে ব্যানার টাঙাবেন। ঢাকার ভেতরে গরুহাটে যারা কাজ করবেন তাদের সমন্বয়টা ভালোভাবে হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। তাদের মধ্যে যেন সমন্বয় থাকে। ঢাকার ১৯টি হাটের জন্য ১৯টি সমন্বয় সভা করতে হবে। থানার ওসি, ডিসি ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সমন্বয় করবেন। তিনি বলেন, ১৯টি হাটের পৃথক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করতে হবে। প্রত্যেক গ্রুপে একজন করে পুলিশ, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার, হাট ইজারাদার প্রতিনিধি যুক্ত থাকবে। এতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।
হাবিবুর রহমান বলেন, কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয় ঢাকাবাসীর জন্য। পশুহাটকে কেন্দ্র করে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরমুখো মানুষ যেন নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারেন। হাটে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যাপারে ডিবির টিম সজাগ থাকবে। হাট ও হাটের আশপাশে এমন ব্যক্তি দেখলেই সাথে সাথে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে হাটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করবেন। হাটে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে। মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনে পুলিশের সহয়তা নিতে পারেন ব্যবসায়ীরা। হাটে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইজারাদারদের পরামর্শ দিয়ে ডিএমপি কমিশনার সবসময় সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকারও আহ্বান জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা