জামিন পেয়েও শাস্তিতে জবি শিক্ষক দ্বীন ইসলাম
- নুর আলম জবি সংবাদদাতা
- ০৪ জুন ২০২৪, ০২:০০
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলাম জামিন পেলেও শাস্তি ভোগ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের কারণে বেসিক বেতনের ৫০ শতাংশ পাচ্ছেন তিনি। এ অবস্থায় দুই সন্তানসহ পরিবার নিয়ে অর্থিক টানাপড়েনে দিন কাটছে তার। এ দিকে অতিরিক্ত মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে ঘাড়ের ‘ডিস-ডিসপ্লেস’ হয়েছে তার। চলছে ব্যয়বহুল চিকিৎসা। এ দিকে অবন্তিকার আত্মহত্যায় মামলা করেন তারা মা। প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়নি পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে দ্রুত তদন্ত রিপোর্টের দাবি জানিয়েছেন অবন্তিকার মা ও ভুক্তভোগী শিক্ষক দ্বীন ইসলাম। জানা যায়, অবন্তিকা গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন বাসায় ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। এর পরেই মামলা করেন তারা মা তহমিনা। এই মামলায় গত ১৬ মার্চ গ্রেফতার হয় দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী। ১ মাস ২১ দিন জেল খাটার পর জামিন পান শিক্ষক দ্বীন ইসলাম। তবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুলিশ প্রশাসনের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারছেন না তিনি।
এর আগে ২০২২ সালের ৭ আগস্ট তৎকালীন ভিসি ইমদাদুল হকের কাছে অবন্তিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় তার সহপাঠীরা। পরদিন ৮ আগস্ট তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামালের কাছে বিষয়টি সুরহার জন্য দায়িত্ব দেন ভিসি ইমদাদুল হক। এরপর প্রক্টর মোস্তফা কামাল মেয়ের বাবা-মাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
১১ আগস্ট এই বিষয়টিকে নিষ্পত্তি করার জন্য সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও গৌতম কুমার সাহাকে দায়িত্ব দেন প্রক্টর। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী অবন্তিকা নিজের দোষ স্বীকার করে ১৪ আগস্ট। পরে মেয়ের দোষ স্বীকার করে তার বাবা-মা মুচলেকা দেয় ২৮ আগস্ট। এখানেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর তৎকালীন প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের কাছে হয়রানি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ করেন অবন্তিকা। কিন্তু এ ঘটনার কোনো ব্যবস্থা নেননি মোস্তফা কামাল। দায়িত্ব দেননি অন্য সহকারী প্রক্টরদের।
এ বিষয়ে মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে জানান, অবন্তিকা একটা অভিযোগ দিয়েছিল নভেম্বর মাসে। পরে তাকে ডাকানো হলে সে আর যোগাযোগ করেনি। তাই এ বিষয়ে পরবর্তী সময় আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ভুক্তভোগী দেখা না করলে কি অভিযোগ আমলে নেয়া হয় না? এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মোস্তফা কামাল জানান, আমলে নেয়া হয়। কিন্তু এর আগে এ অভিযোগের একবার মীমাংসা হয়েছিল বলে সরাসরি তার বক্তব্য জানতে চেয়েছিলাম। সে আর যোগাযোগ করেনি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলাম বলেন, আমি যদি দোষী হই আমার শাস্তি হোক কিন্তু বিনাদোষে আমার জীবনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। অবন্তিকার বিরুদ্ধে যে তদন্ত আমার ওপর ছিল সেটা আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা