জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালন চট্টগ্রাম বিএনপির
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০১ জুন ২০২৪, ০১:০৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, জিয়াউর রহমান না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা হতো না। তিনি বলেন, বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন এ দেশের কৃষক-মজুর সর্ব শ্রেণীর নেতা।
তিনি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম। গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, দেশের সকল দুর্যোগে মেজর জিয়াউর রহমান জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ৭১ সালে দেশের নেতৃত্ব যখন দোদুল্যমান, তারা যখন কোনো দিকনির্দেশনা দিতে পারছিলেন না, ঠিক ওই সময় সেনাবাহিনীর একজন মেজর চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করলেন। ১৯৭৫ সালে আজকের সরকারের পূর্বসূরীরা জাতিকে একটা অন্ধকারের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। তারপর সিপাহি-জনতা একত্র হয়ে জিয়াউর রহমানকে রাজনীতি ও ক্ষমতার সামনে নিয়ে আসেন। জিয়াউর রহমান মানুষের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, একটা মুক্ত বাংলাদেশ তৈরি করেছিলেন। আবার একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই জাতি কখনো জাতির অবস্মরণীয়া নেতা শহীদ জিয়াউর রহমানকে ভুলে যাবে না।
মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি। তার ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছেন। এরপর তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে গার্মেন্ট শিল্প স্থাপন, জনশক্তি রফতানি, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও রফতানি করেন। তার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। তার জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ ও স্বাধীন পতাকা পেতাম না।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও মহানগর সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি উপস্থিত ছিলেন। এ দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, জিয়া একটি ইতিহাস। জিয়া একটি প্রতিষ্ঠান একটি বৈপ্লবিক চেতনা ও একটি রাজনৈতিক দর্শন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার ষোষণা দিয়ে তিনি দিকহারা জাতিকে আলোর দিশারী হয়ে পথ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। দেশের প্রতিটি সঙ্কটময় সময়ে তিন গুরুত্বপূর্ণ ও দুঃসাহসী ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশে বহুদলীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন, সময়োপযোগী গতিশীল পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র অবস্থান ও গতিপথ নির্ধারণ এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সহযোগিতার পথ নির্দেশ শহীদ জিয়ার অন্যতম অবদান। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করেন। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আখ্যা থেকে খাদ্য রফতানিকারক দেশে পরিণত করেন।
গতকাল শুক্রবার জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বোয়ালখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু। বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইছহাক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ডা: মহসিন খান তরুণ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আক্কাস খান প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা