বিদেশে বেনজীর পরিবারের সম্পদের খোঁজে দুদক
বিএফআইইউকে চিঠি- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ মে ২০২৪, ০০:৫৩
পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে বিদেশে কোনো সম্পদ আছে কি না, খোঁজ নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে দুদকের পক্ষ থেকে বিদেশে সম্পদের খোঁজ নিতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দেয়া হয়েছে।
দুদক ও বিএফআইইউ সূত্র জানায়, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। দুদক সূত্র বলছে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বেনজীর পরিবারের সম্পদ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন সূত্রে তারা কিছু তথ্যও পেয়েছেন। সম্পদ আছে কি না, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে বিএফআইইউকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
এ দিকে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও তিন মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক। আগামী ৬ জুন বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রী জীশান মীর্জা ও তিন মেয়েকে ডাকা হয়েছে ৯ জুন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কমিশনের কাছে আবেদন করেছিল দুদকের অনুসন্ধান দল। গত মঙ্গলবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় কমিশন। পরে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের তলব করা হয়।
দুদক বিভিন্ন সংস্থাকে বেনজীর পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তথ্য আসছে বলে সূত্র জানায়। এখন পর্যন্ত বেনজীর পরিবারের ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) পেয়েছে দুদক। আদালতের আদেশে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানে কমিটি করে দুদক।
বিএফআইইউর একটি সূত্রের দাবি, সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানের বিষয়টি আগেই টের পেয়ে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলে নেয়া হয়। ফলে যে ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলোতে তেমন কোনো অর্থ পাওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা