হাইতিতে চোরাগোপ্তা হামলায় ৩ মার্কিন মিশনারি নিহত
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৬ মে ২০২৪, ০১:৩০
হাইতিতে অপরাধী দলের চোরাগোপ্তা হামলায় এক মার্কিন খ্রিষ্টান মিশনারি গোষ্ঠীর তিন মিশনারি নিহত হয়েছেন। তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক দম্পতি রয়েছেন। নিহতরা হলেন- নাটালি লয়েড (২১), তার স্বামী ডেভি লয়েড (২৩) ও হাইতিয়ান জুড মন্টেস (২০) । তারা একটি গির্জা থেকে বের হওয়ার পরই বন্দুকধারীদের চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হন। নাটালি যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি রাজ্যের আইনপ্রণেতা বেন বেকারের মেয়ে। বেকার তার মেয়ে ও জামাইয়ের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। রয়টার্স।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আজ সন্ধ্যায় অপরাধী দলের হামলার শিকার হয়ে তারা উভয়েই নিহত হয়েছে। তারা একসাথে স্বর্গে চলে গেছে। আমার হৃদয় টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। এ ধরনের বেদনা কখনোই অনুভব করিনি। এই দম্পতি ২০২২ সালে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তার পূর্ণ সময় মিশনারি হিসেবে কাজ করতেন। তাদের সংগঠন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমাভিত্তিক গোষ্ঠী ‘মিশন ইন হাইতি’ মার্কিন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে, এ ঘটনায় নিহত তৃতীয় জন হলেন জুড মন্টেস।
নিহত ডেভি লয়েড মিশন ইন হাইতির প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড লয়েড ও অ্যালিসা লয়েড এর ছেলে। ২০০০ সাল থেকে মিশন ইন হাইতির কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে মিশন ইন হাইতি জানিয়েছিল, নিহত তিনজন দু’টি পৃথক সশস্ত্র দলের হামলার শিকার হয়েছেন। তার একটি গির্জা থেকে বের হওয়ার সময় প্রথম দলটির চোরাগোপ্তা হামলার মুখে পড়েন। এই দলের তিন ট্রাকভর্তি সশস্ত্র সদস্য তাদের ওপর হামলা চালায়।
তারা ডেভিড লয়েডকে ধরে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেঁধে মারাধর করে। তারপর কিছু মালামাল নিয়ে ট্রাকে চলে যায়। নাটালি ও মন্টেস তখন এই বাড়িতে আসেন। এ সময় আরেক অপরাধী দলের সশস্ত্র সদস্যরা সেখানে কী হচ্ছে দেখার জন্য এসে হাজির হয়। তারা কোনো সাহায্য করতে পারবে কি না- সেটিও দেখছে বলে জানায়। কেউ বুঝতে পারছিল না তারা কী করছে, কী হচ্ছে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না যখন তখনই এই দলের একজন হঠাৎ গুলিবিদ্ধ হয় ও মারা যায়। আর সাথে সাথেই পুরো দল আক্রমণাত্মক অবস্থায় চলে যায়।
এ সময় নাটালিরা মিশন ইন হাইতির দফতরে স্যাটেলাইট ফোনে কল করে জানায়, তাদের জীবন হুমকির মুখে। নাটালিরা ওই বাড়িতেই আটকা পড়ে থাকেন আর স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে ওই অপরাধী দলের লোকজন বাড়িটির জানালা লক্ষ্য করে সবদিক থেকে গুলি করতে শুরু করে আর গুলি চালিয়েই যেতে থাকে। তিন ঘণ্টা পর বাড়িটিতে আটকা পরা তিনজনেরই মৃত্যু হয় বলে মিশন ইন হাইতি নিশ্চিত করেছে।
এই হত্যাকাে র ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টির মুখপাত্র বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে হাইতির নিরাপত্তা পরিস্থিতি কারও জন্য অপেক্ষা করছে না, বহু নিরপরাধ প্রাণ হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। হাইতির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দেশটিতে কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন জাতিসঙ্ঘ বাহিনী মোতায়েনের কথা রয়েছে। এই বাহিনী দ্রুত মোতায়েন করার আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা