১৬ জুন ২০২৪
`

মংলা বন্দরে প্রতি বছরে আয় ১০০ কোটি টাকা

-

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘুরছে মংলা সমুদ্রবন্দরের অর্থনীতি। কয়েক বছর আগেও মৃত বন্দর হিসেবে বিবেচিত হতো বন্দরটি। অথচ বর্তমানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির সুবাদে মংলা বন্দরে জাহাজ আসা বাড়ায় কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও রাজস্ব দুটোই বেড়েছে। এর ফলে মংলা বন্দরের প্রতি বছর লাভ হচ্ছে ১০০ কোটিরও বেশি টাকা বলে তথ্য জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (এমপিএ) তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৩০.৫৯ শতাংশ, আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় নিট মুনাফা বেড়েছে ২১.২৮ শতাংশ। কনটেইনার জাহাজ আগমনের নতুন রেকর্ড করেছে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (এমপিএ)। এপ্রিল মাসে মংলা বন্দরে আটটি কনটেইনারবাহী জাহাজ এসেছে, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
এমপিএর উপপরিচালক মো: মাকরুজ্জামান জানান, ‘এপ্রিল মাসে যে আটটি কনটেইনারবাহী জাহাজ এসেছিল, তাতে ১,৮৭৫ টিইইউএস (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যের কনটেইনার) পণ্য ছিল।’ তিনি জানান, ২০১৯ ও ২০২০ সালের এপ্রিল মাসেও আটটি জাহাজ বন্দরে এসেছিল। তবে সেই সময়ে কনটেইনারের সংখ্যা কম ছিল।

চলতি অর্থবছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সংখ্যাও বেড়েছে জানিয়ে মাকরুজ্জামান বলেন, এই অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে মংলা বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২৫ হাজার ২৮ টিইইউএস। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ১৬৫ টিইইউএস।
এসব কনটেইনারবাহী জাহাজ আগমনের ফলে চলতি অর্থবছরে মংলা বন্দরের রাজস্বও বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে মংলা বন্দরের নিট মুনাফা হয়েছে ৭০.১৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে একই সময়ে যা ছিল ৫৭.৮৭ কোটি টাকা।
কনটেইনারবাহী জাহাজের আগমন ও মুনাফা বাড়ার কারণ জানিয়ে এমপিএর উপপরিচালক বলেন, বন্দরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুত কনটেইনার খালাস ও বোঝাই করা সম্ভব হচ্ছে।
একইসাথে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কনটেইনারবাহী জাহাজ আসা বেড়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের বন্দরের প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি অর্থ খরচও কমেছে। আমরা প্রতিনিয়ত ব্যসায়ীদের সাথে সভা করে তাদের বন্দর ব্যবহারে জন্য উৎসাহিত করছি।
মংলা বন্দরের উন্নয়নে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং চারটি উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে সরকার।
মাকসুজ্জামান জানান, বিভিন্ন ধরনের ১৩৬টির বেশি কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে বন্দরের জন্য। এছাড়া বর্তমানে পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর আওতায় পশুর চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার এলাকায় ৩.১১ কোটি ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক জোয়ারে অ্যাংকরেজ পর্যন্ত ৯.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ এবং জেটি এলাকায় ৮.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ নির্বিঘেœ আগমন-নির্গমন করতে পারছে। একইসাথে ১২৮টি বিভিন্ন ধরনের বয়া, দু’টি রোটেটিং বিকন, ছয়টি জিআরপি লাইট টাওয়ার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে বন্দর চ্যানেলে।
ফলে মংলা বন্দরে এখন দিনরাত জাহাজ আগমন-নির্গমন করতে পারছে। এতে বন্দরে কার্গো ও কনটেইনার সুষ্ঠুভাবে ও দ্রুততার সাথে হ্যান্ডলিং করা যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
এবারের হজে যোগ দিলো ২০ লাখেরও বেশি মুসলিম আ’লীগ নেতার হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় আইসক্রিম ফাক্টরি মালিক সরকারের নতজানু নীতির কারণে সীমান্তে আগ্রাসন : মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে তৎপর থাকার নির্দেশ বিজিবি প্রধানের বাংলাদেশ জাতীয় মুফতী বোর্ডের ‘কুরবানী ও ঈদুল আযহা’ শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত ইরানের নির্বাচনে কে হবেন নতুন প্রেসিডেন্ট ধলেশ্বরী নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে টেনে আনছে ইসরাইল! চিন্তায় বাইডেন ঈদের দিন কি বৃষ্টি হবে! এক লাখ কোটি টাকার কোরবানির অর্থনীতি ‘শয়তানকে পাথর মারার’ মধ্যদিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছেন হাজীরা

সকল