দুই জেলায় উপজেলা নির্বাচন কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-ভাঙচুর
নির্বাচনী সহিংসতা- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাচন কেন্দ্র করে সাবেক অ্যাডভোকেট অনিমেষ রায়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। অপর দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমানের ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় মোটর, প্রাইভেটকার, চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও আইনজীবীর মধ্যে ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।
স্থানীয় প্রত্যদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ মে শুক্রবার রাত ৯টায় উপজেলার রাজাপুর বুড়িরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে জ্যোতিশ চন্দ্র রায়ের মোটরসাইকেল মার্কার নির্বাচনী পথসভায় বিভিন্ন প্রার্থীর লোকজনের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্য শেষে সাবেক হুইপ আলহাজ মো: মিজানুর রহমান মানু বিদ্যালয়ের গেটে পৌঁছামাত্র অ্যাডভোকেট অনিমেষ রায় তার পথরোধ করেন এবং নির্বাচনী পথসভায় দেয়া বিভিন্ন বক্তব্যের ব্যাখ্যা চান। এ সময় উভয়ের মধ্যে তর্কের একপর্যায়ে নিজ নিজ সমর্থকদের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়। পরবর্তীতে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে ওই আইনজীবী দক্ষিণে রাজাপুর বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দিকে সরে গেলে স্থানীয়রা ও বাজারের লোকজন এসে দু’পকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আইনজীবী অনিশেষ রায় বলেন, সাবেক হুইপ মিজানুর রহমান মানু আমার ও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বক্তব্য দেন। আমি তার সামনে গিয়ে প্রমাণ চাওয়া মাত্রই উনি চড়াও হন। সেখানে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটায় আমি বিব্রত হয়ে সরে যাই।
এ ব্যাপারে সাবেক হুইপ আলহাজ মো: মিজানুর রহমান মানুর কাছেও জানতে কয়েকবার মোবাইলে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণাকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমান সুমনের ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা তার প্রচারণায় ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, একটি মাইক্রোবাস, মাইক, টেবিল ও চেয়ার ভাঙচুর করে। এ সময় বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মনকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত-এ-খুদা ও ভাঙ্গা থানার ওসি মো: মামুন আল রশীদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোখলেছুর রহমান সুমন জানান, গত শনিবার রাতে পথসভার প্রায় শেষ পর্যায়ে প্রতিপক্ষ কাউছার ভুঁইয়ার সমর্থক ইয়াকুব মিয়া, আক্কাস মাতুব্বর ও তুহিন খানের নেতৃত্বে এক শ থেকে দেড় শ লোক এসে হামলা করে। তারা আমাদের মাইক, চেয়ার ও ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। তবে প্রতিপক্ষ কাউছার ভূঁইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা হামলা করেছে তা আমি জানি না। আমি তখন অন্য একটি স্থানে মিটিং করছিলাম।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো: মামুন আল রশীদ বলেন, হামলার খবর জেনে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশত লোক এ হামলা করেছে। তিন চারটি গাড়ি, মাইক ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভাঙ্গা উপজেলার নির্বাচন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরুল্লাহর অনুসারী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোখলেছুর রহমান সুমন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন সমর্থিত প্রার্থী মো: কাউছার ভুঁইয়া।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা