ট্রানজিট বাতিলের হুমকি দিন সীমান্ত হত্যা শূন্য হয়ে যাবে : মুসলিম লীগ
- ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের নগ্ন হস্তক্ষেপ, বিএসএফ কর্তৃক নির্বিচারে নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যা, অভিন্ন নদীর পানি প্রত্যাহার, বাণিজ্য বৈষম্যের মতো বিভিন্ন ঘটনায় অসম দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্পষ্ট। এ রকম বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে সব ধরনের আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে অবজ্ঞা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে কার্যত অপমানজনকভাবে অস্বীকার করছে ভারত। ডামি-ভুয়া-বিনা ও তামাশার ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় জেঁকে বসা নতজানু সরকার, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বন্দর ব্যবহার, ট্রানজিট, ট্রানশিপমেন্টের মতো পারস্পরিক স্বার্থ নিয়ন্ত্রক নিয়ামকগুলো শুধুমাত্র গদি টিকিয়ে রাখার সহায়তার আশ্বাসের বিনিময়ে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের মাধ্যমে দিল্লির এহেন পররাষ্ট্রনীতির প্রতি তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সীমান্ত হিসেবে আখ্যা পাওয়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী হত্যা কোনোভাবেই থামছে না। বারবার সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার উদ্যোগ, যৌথ টহল, পতাকা বৈঠক সব লোক দেখানো হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। শুধু গত দশ বছরেই সীমান্তে হত্যার পরিমাণ আড়াই শ’ ছাড়িয়ে গেছে। এমতাবস্থায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে মর্যাদার আসনে পুনঃস্থাপন করতে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়ন্ত্রণের নিয়ামক বিষয়সমূহ জনগণকেই ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু এক ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের হুমকিতেই সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মুখে, সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরিউক্ত মন্তব্য করেন। দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সম্মানিত আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, জাগপা মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আফতাব হোসেন মোল্লা, অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ এ সবুর, খোন্দকার জিল্লুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান, আলমগীর জলিল, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা