১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চট্টগ্রামে মসলার উচ্চ মূল্যের পাশাপাশি ডিমের ডজন ১৫০ টাকা ছুঁয়েছে

-


আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সব ধরনের মসলার উচ্চ মূল্যের পাশাপাশি ডিমের দাম বাড়ছে প্রতিনিয়তই। ফার্মের লাল ডিমের দাম ডজন প্রতি দেড় শ’ টাকা ছুঁয়েছে। সাথে মাছ-গোশত, সবজিসহ সব পণ্যের দামও যেন আকাশছোঁয়া। বাজেটের হিসাব না মিলায় চাহিদা মতো পণ্য কিনতে না পেরে মলিন চেহারায় ফিরছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ।
শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল সকাল থেকেই মাছ-গোশতের বাজারে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু দাম শুনে অনেককেই মন ভার করে ফিরতে দেখা গেছে। কোনোভাবেই হিসাব মিলাতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা। মাছ-গোশতের দিকে তাকাতেও হিমশিম খাচ্ছে তারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল চট্টগ্রামে রুই, কাতলা, কালিঘনিয়া এই তিন জাতের মাছ আকারভেদে প্রতিকেজি ৩৫০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মৃগেল ৩ শ’-৪ শ’ টাকা, নাইলোটিকা ২৮০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৭৮০-৮০০ টাকা, দেশীয় কোরাল ৭৫০ টাকা, বাটা ৭০০ টাকা, ফলই ৬০০ টাকা, মলা ৮০০ টাকা, কাঁচকি ৪৮০ টাকা, শোল ৮০০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, কই ৯০০ টাকা, কালো চাঁদা ৭০০ টাকা, ভোল ৭০০ টাকা, মাইট্টা ৭ শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গতকাল চট্টগ্রামে গরুর গোশত কেজি প্রতি সাড়ে ৯ শ’ টাকা এবং হাড়সহ ৭৫০-৮০০ টাকা, দেশীয় জাতের মুরগি প্রতি কেজি ৬০০-৬২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৪০-৩৫০ টাকা, কক মুরগি ৩৪০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
গেল রমজানের পর হতে আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা। গতকাল প্রতিকেজি আদা ও রসুন ২২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। অথচ রমজানজুড়ে এই দু’টি পণ্যের দাম ছিল ১৮০ টাকা কেজি। দেশী পিঁয়াজ গতকাল আকারভেদে ৭৫-৮০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

এছাড়া ডিমের দামেও স্বস্তি নেই। গতকাল প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম ১৫০ টাকা, সাদা ডিম-১৪৫ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা, দেশী মুরগির ডিম ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। সেই সাথে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দামও। বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝাঁজও। ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি মিলছে না।
এদিকে কোরবানি সামনে রেখে মসলার দামের পাগলা ঘোড়া যেন থামবার নয়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে গতকাল প্রতি কেজি এলাচ ৩৭ শ’ টাকা, গোলমরিচ ৭০০ টাকা, লবঙ্গ ১৬ শ’ টাকা, দারুচিনি ৪০০ টাকা এবং জিরা মানভেদে ৬০০-৮৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
একটি করপোরেট হাউজের নির্বাহী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে বাজার ঘুরে আপনার মনে হয়েছে? সরকারের করের জাল মানুষের জন্য খাবার যোগানোই কঠিন করে তুলেছে। কিন্তু এসব নিয়ে সরকার ভাবে না, সরকারের এখন টাকার দরকার, তাই যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি সে অনুযায়ী ইচ্ছে মতো ট্যাক্স আরোপ করছে। কারণ সরকার জানে মানুষ ওসব পণ্য কিনবেই।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল