১৭ বছর বয়সে পিএইচডি
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
গত ৬ মে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকে উদ্থযাপন করলেন ডরোথি জিন টিলম্যান। শিকাগো অঙ্গরাজ্যের এই কিশোরী মাত্র ১০ বছর বয়সেই কলেজের পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। পরবর্তী সাত বছরের মধ্যে তিনি কলেজ, ব্যাচেলরস, মাস্টার্স এবং শেষ পর্যন্ত পিএইচডি ডিগ্রিও সম্পন্ন করেছেন।
গত ডিসেম্বরেই ডরোথি তার গবেষণা নিবন্ধ সফলভাবে উপস্থাপন করেন। এর ফলে অ্যারিজোনায় সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ‘ইন্টিগ্রেটেড বিহ্যাভিয়রাল হেলথের’ ওপর ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। গত সোমবার (১৪ মে) এবিসি নিউজের ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক লেসলি ম্যানসন। ডরোথির পিএইচডি ডিগ্রি সম্পর্কে ম্যানসন বলেন, ‘এটি একটি দারুণ উদথযাপন। আমরা আশা করি, ডরোথি জিন অন্যান্য শিক্ষার্থীর জন্য অনুপ্রেরণা হবেন।’ এত কম বয়সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকে একটি ‘বিরল ও অভিনব’ ঘটনা হিসেবেও আখ্যা দেন ম্যানসন।
ডরোথি জিন টিলম্যানকে তার পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা ‘ডরোথি জিনিয়াস’ নামে ডাকেন। তিনি শিকাগো সিটি কাউন্সিলের সাবেক নারী সদস্য ডরোথি টিলম্যানের নাতনি। জানা যায়, যে বয়সে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশোনা শুরু করার প্রস্তুতি নেয় সেই বয়সেই ডরোথিকে তার মা ইলিনয়ের লেক কাউন্টির একটি কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন। কলেজে তার মেজর সাবজেক্ট ছিল মনোবিজ্ঞান। ২০১৬ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সেই কলেজের শিক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি। ডরোথি ‘ব্যাচেলরস অব হিউম্যানিটিজ’ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন ২০১৮ সালে নিউ ইয়র্কের অ্যাক্সেলসিওর কলেজ থেকে। পরবর্তী দুই বছরে মাইনের ইউনিটি কলেজ থেকে তিনি তার ‘মাস্টার্স অব সায়েন্স’ ডিগ্রি লাভ করেন। ২০২১ সালে অ্যারিজোনা স্টেটের বিহ্যাভিয়রাল হেলথ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে তার পিএইচডি আবেদন গ্রহণ করা হয়।
গত মঙ্গলবার অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য এবং বিরল অর্জনের জন্য নানীকেই সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দেন ডরোথি। পাশাপাশি তিনি তার মায়ের দেখভাল ও সমর্থনের বিষয়টিকেও তুলে ধরেন। ডরোথি জানান, কলেজে ভর্তির আগে তিনি বাড়িতেই পড়াশোনা করতেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ‘ডরোথিজিনিয়াস স্টিম’ নামে একটি লিডারশিপ ইনস্টিটিউশনও প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এই ইনস্টিটিউটের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিল্প এবং বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক তরুণ শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি সামার ক্যাম্পেরও আয়োজন করে। ইন্টারনেট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা