বাংলাদেশ ব্যাংকের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে : রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০
সাংবাদিকরা যাতে জানতে না পারে, সেজন্য তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে, মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এখন বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে কী ধরনের সর্বনাশ হয়েছে। থলের বিড়াল এখন আস্তে আস্তে বের হতে শুরু করছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সমর্থনে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, আমরা একটি কঠিন সঙ্কটের মধ্যে দিনযাপন করছি। আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই, চলাচলের স্বাধীনতা নেই। সভা-সমাবেশ করতে পারি না। এক কঠিন ভয়াবহতার মধ্যে দেশ নিপতিত হয়েছে। আর্থিক অবস্থা চরম সঙ্কটাপন্ন। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমদানি করার জন্য যে টাকা দরকার, সেই টাকা আমাদের নেই। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে সবাইকে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
ইসরায়েলের সাথে বিএনপির তলে তলে সম্পর্ক রয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, আমরা তো যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনের নির্যাতিতের পক্ষে কথা বলে আসছি। আর ইসরায়েলের প্লেন বাংলাদেশে নেমে কী দিয়ে গেছে সরকারকে, এটা তো মানুষের প্রশ্ন। আপনি এ ধরনের কথা বলেন জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে সরানোর জন্য। আজ বাংলাদেশ ব্যাংকে কী হচ্ছে সেটা কি আপনি বলতে পারবেন? আপনারা সবই জানেন, সবই বোঝেন। আপনাদের মধ্যে যে অনাচার, লুটপাট, ষড়যন্ত্র চলছে, তা থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে যাচ্ছেন।
কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা হ্যাক করে অন্য দেশে চলে গেছে, এমন প্রশ্ন করে রিজভী বলেন, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে কোনো ঘটনা ঘটেছে’। সেইটা আস্তে আস্তে প্রতিদিন ফুটে উঠছে। আওয়ামী লীগ ভেতরে ভেতরে এক কাজ করে আর জনগণকে অন্য কথা শোনায় মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ডোনাল্ড লু দেখলাম সরকারের এক উপদেষ্টার বাসায় ডিনার করলেন। অথচ ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কত কথাই না বলেন। জানতে পারলাম মার্কিন কোম্পানিগুলোর ঋণ পরিশোধ করার জন্যই ডোলান্ড লু চাপ দিয়েছেন।
সুতরাং ডোলান্ড লু’র হাত-পা ধরা, অনুরোধ করছেন সরকারের লোকজন। এ ধরনের দ্বিচারিতা আর ভণ্ডামি করেই সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে। মামু আর খালুদের নির্বাচন হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না। প্রথম দফায় কেউ ভোট দিতে যায়নি, এবারো যাবে না। যে সরকার জনগণের অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সেই সরকারের অধীনে যে উপজেলা নির্বাচন, সে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না। জনগণ ভোট বর্জন করবে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা: জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্মসম্পাদক আশরাফুর রহমান প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা