২ গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ : আহত ১৬
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৭ মে ২০২৪, ০০:৫৮
চট্টগ্রাম নগরের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের রণক্ষেত্রে পরিণত হয় মহসিন কলেজ গেট। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছে বলে উভয়পক্ষ দাবি করছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চকবাজার থানাধীন মহসিন কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রঘোষিত ফিলিস্তিনের ইস্যুতে মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের একটি পদযাত্রা ঘুরে এসে আবার কলেজের প্রধান ফটকে দাঁড়ায়। এসময় চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈমসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হন। অপরদিকে নাঈম উদ্দিনের নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী গণি বেকারি এলাকায় ধাওয়া দিয়ে চকবাজার ছাত্রলীগের অন্তত ৬ জন কর্মীকে মারধর করেন। উভয় পক্ষে সংঘর্ষ চলাকালে তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।
চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঘোষিত ফিলিস্তিনের প্রোগ্রামে আমরা সিআরবিতে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে এ সময় ছাত্রলীগের নাঈম ও মিজানের নেতৃত্বে আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের দুই কর্মীর মাথা ফেটে গেছে। আহত হয়েছে আরো চারজন। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ভর্তি আছে।
সংঘর্ষে আহত ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে, এরা হলেন- মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈম, মফিজুর রহমান (বিএসএস ফাইনাল), আরমান হোসাইন (বিবিএস তৃতীয় বর্ষ), মোহাম্মদ তাকিব (বিবিএস ৪র্থ বর্ষ), আরবিন আরমান (২য় বর্ষ), সাইদুল (বিএসএস ৩য় বর্ষ), নাফিস (বিবিএস ২য় বর্ষ), শিহাব (বিএসএস ২য় বর্ষ), রিমন ও অন্তর (এইচএসসি ২য় বর্ষ) আহত হয়েছে। বিপরীতে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামসহ ইমরান খান ইমন ও আশিকুল ইসলাম রবিন ছাড়া আরো ৪ জন আহত হন।
চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক সারোয়ার বলেন, তেমন হতাহতের কিছু আমরা দেখিনি। তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা