‘টাকা দিয়ে কী করব, সন্তান হত্যার বিচার চাই’
- ০৩ মে ২০২৪, ০১:২৬
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমীনের নির্দেশে ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ও ছদর ছাহেবের পৌত্র হাফেজ মাওলানা মুফতি উসামা আমীনের দিকনির্দেশনায় গওহরডাঙ্গা শিক্ষাবোর্ডের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল ফরিদপুরের মধুখালিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজনের হামলায় নিহত মুসলিম শ্রমিকদের পরিবার ও আহতদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদল নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সান্ত্বনা দেন এবং দোয়া করেন। আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। প্রতিনিধিদল গওহরডাঙ্গা বোর্ডের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা নিহতদের পরিবার ও আহতদের কাছে পৌঁছে দেন।
গওহরডাঙ্গার প্রতিনিধিদলের আগমনের সংবাদে আশপাশের ধর্মপ্রাণ মানুষ ছুটে আসেন এবং তাদের আবেগ ও ক্ষোভের কথা জানান। প্রতিনিধিদল তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং তাদের দাবি বায়তুল মোকাররমের খতিব ও মুফতি উসামা আমীনের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে তাদের জানান।
প্রতিনিধিদল তাদের বক্তব্যে কড়া ভাষায় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
গওহরডাঙ্গার প্রতিনিধিদের আগমনের সংবাদে মধুখালি থানার ওসি তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় তিনি ১২ অপরাধীকে গ্রেফতার করেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্যদেরও গ্রেফতার করতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
অর্থ গ্রহণের সময় নিহত সহোদরদের মা বলেন, টাকা দিয়ে কী করব! আমি আমার সন্তানদের হত্যার বিচার চাই।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন, বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, সহসভাপতি মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা কবিরুল ইসলাম, গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহাবুদ্দিন, মুফতি মোস্তফা কাসেম, বোর্ডের উপদেষ্টা মাওলানা মাহবুবুর রহমান, ফরিদপুরের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা হেলালুদ্দিন, মাওলানা লিয়াকত আলী, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ঝিনাত আলী, মুফতি মুঈনুদ্দিন, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মাকসূদুল হক, মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আতাউল্লাহ, মাওলানা ফখরুল ইসলামসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম, নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।