২২ মে ২০২৪, ০৮ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫
`


হবিগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

-

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্র তানভীর হোসেন হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। রায়ে তিন আসামিকে এক লাখ টাকা করে এবং অপরজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার পশ্চিম নসরতপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৫) নূরপুর গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে শান্ত (২৬) ও বাছিরগঞ্জ বাজারের জলিল কবিরাজের ছেলে জাহিদ মিয়া (২৮)। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- মরমা গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে মো: লিমন মিয়া। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল। তিনি বলেন, আসামিরা পরিকল্পনা করে খুব নির্মমভাবে তানভীরকে হত্যা করে তার লাশ পুঁতে রাখে। তবে এক দিন পরই তারা গ্রেফতার হয় এবং হত্যার কথা স্বীকার করে। তাদের দেখানো মতেই লাশ ও আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২১ জনের সাক্ষীর মাধ্যমে দোষ প্রমাণ হওয়ায় সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার তাদের ফাঁসির আদেশ দেন।
২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুরের বাসিন্দা তানভীর হোসেন নিখোঁজ হন। এরপরই তার বাবার কাছে ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে কল আসে। এ ঘটনায় অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ আসামিদেরকে আটক করলে তারা তানভীরকে হত্যা করে পুকুরে পুঁতে রাখা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
পুলিশ অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বছর আগে তানভীরের বাবার কাছে অপমানিত হন মামলার আসামি উজ্জ্বল মিয়া ও তার বাবা। এ ঘটনার পর প্রবাসে চলে যান উজ্জ্বল। ছয় বছর পর ২০২১ সালে দেশে ফিরে প্রতিশোধ নিতে তিনি পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীরকে ডেকে গ্রামের পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন আসামি শান্ত। পরে শান্ত ও জাহিদ তানভীরকে ধরে রাখেন ও উজ্জ্বল গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে কাদার মধ্যে চাপা দেন।
ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তানভীরের বাবার মুঠোফোন নাম্বারে কল দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয় বলেও পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসে।

 


আরো সংবাদ



premium cement