নাকফুলের পিন গেল ফুসফুসে
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০১ মে ২০২৪, ০২:০২
ভুলবশত দুই মাস আগে নাকফুলের পিন গিলে ফেলেছিলেন ভারতের বর্ষা সাহু। প্রথম দিকে তিনি বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। ধারণা করছিলেন এটি স্বাভাবিকভাবেই তার পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে বের হয়ে যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ধাতব বস্তুটি ফুসফুসে আটকে গেলে নানা জটিলতাসহ শ্বাস নিতে বর্ষার কষ্ট হচ্ছিল। অবশেষে ডাক্তাররা সেটি তার শরীর থেকে বের করতে সক্ষম হয়েছেন।
৩৫ বছর বয়সী বর্ষা সাহু ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে নাকফুল ব্যবহার করছেন। বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, আমি জানতাম না যে পিনটি ঢিলে হয়ে এসেছিল। কথা বলতে বলতে আমি একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস নেয়ার পরেই সেটি গিলে ফেলি। আমি জানতাম না যে এটি আমার ফুসফুসে চলে গেছে। ভেবেছিলাম সেটি আমার পাকস্থলীতে চলে গেছে। মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের একজন পালমোনোলজিস্ট (ফুসফুস বিশেষজ্ঞ) ডা: দেবরাজ জাশ গত মাসে বর্ষার ফুসফুস থেকে পিনটি বের করেন। তিনি এটিকে ‘অত্যন্ত বিরল’ ঘটনা বলে বর্ণনা করেন।
প্রাথমিকভাবে ক্ষুদ্র ক্যামেরাযুক্ত একটি ফাইবারোপটিক ব্রঙ্কোস্কোপ দিয়ে চেষ্টা করা সত্ত্বেও পিনটি তার ফুসফুস থেকে বের করা সম্ভব হয়নি। বর্ষাকে তখন ডা: জ্যাশের কাছে পাঠানো হলে তিনি পিনটি অপসারণের জন্য আবারো ফাইবারোপটিক ব্রঙ্কোস্কোপ দিয়ে চেষ্টা করেন। দ্বিতীয়বার এ পদ্ধতি ব্যবহার করার আগে ডা: জাশ বর্ষার সাথে কথা বলেন এবং সম্ভাব্য জটিলতার বিষয়ে সতর্ক করেন। ডা: জাশ বলেন, একটি নিয়মিত ফাইবারোপটিক ব্রঙ্কোস্কোপ দিয়ে একটি ধারালো বস্তু বের করা অত্যন্ত কঠিন। পিনটি তার ফুসফুসে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ছিল এবং এর চারপাশে টিস্যু ইতোমধ্যেই বেড়ে উঠেছিল। ৩০ মিনিট চেষ্টা করার পর তিনি বর্ষার ফুসফুস থেকে পিনটি বের করতে সক্ষম হন। বর্ষাকে চার দিন হাসপাতালে থাকার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা