ইসলামী শ্রমনীতিতে রয়েছে শ্রমিক-মালিকের প্রকৃত কল্যাণ : ডা: শফিকুর রহমান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:১৯
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, বর্তমানে শ্রমিক সমাজ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে অনেক ক্ষেত্রেই বঞ্চিত। কলকারখানা ও উৎপাদন সেক্টরগুলোতে মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব এক ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। বেতনসহ ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের অনেক ক্ষেত্রে ছাঁটাই করা হচ্ছে, হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে এবং অনেক গুলি করে আহত ও নিহত করা হচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটানো প্রয়োজন। আমরা মনে করি, ইসলামী শ্রমনীতি চালু করার মাধ্যমেই শ্রমিক সমাজের প্রকৃত মুক্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে এবং মালিকদের স্বার্থও সংরক্ষিত হতে পারে।
গতকাল এক বিবৃতিতে ১ মে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ তথা ‘মে দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ডা: শফিকুর রহমান বলেন, আগামীকাল ১ মে ‘মে দিবস’। ১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিক সমাজ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। বিশ্বের শ্রমিক সমাজ তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এখনো তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে আসছে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সে আন্দোলন আজো পুরোপুরি সফলতা লাভ করেনি। প্রায় সময় শ্রমিকদের তাদের ন্যায্য বেতন-ভাতার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এমনকি ন্যায্য পাওনা আদায় করতে গিয়ে তাদের মূল্যবান জীবনও দিতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণের পরিবর্তে মালিক পক্ষ নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যা শ্রমিকদের তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্রমিকরাও তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন করে। এমনকি অগ্নিসংযোগের ঘটনাও সংঘটিত হয়, যা নিতান্তই দুঃখজনক। এ অবস্থার অবসান হওয়া দরকার।
তিনি আরো বলেন, এ কথা আজ অত্যন্ত স্পষ্ট যে, মানবরচিত কোনো মতবাদই মানুষের সমস্যার সঠিক সমাধান দিতে সক্ষম নয়। ‘শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করার জন্য’ রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জোর তাগিদ দিয়েছেন। শ্রমিকদের মর্যাদা রক্ষার জন্য রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মধ্যেই মালিক-শ্রমিক উভয়ের জন্যই প্রকৃত কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
দেশে বিরাজমান এই পরিস্থিতিতে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে ১ মে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ তথা ‘মে দিবস’ পালনের জন্য তিনি দেশের সর্বস্তরের শ্রমজীবী সমাজ ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা