চিরস্থায়ীভাবে বাকশাল করতে খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখা হয়েছে : রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১২
গণতন্ত্রকে চিরস্থায়ীভাবে বাকশালে পরিণত করার জন্যই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গতকাল (রোববার) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সাবেক ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাদের আয়োজনে ও স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছাদরেজ জামানের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: তৌহিদুর রহমান আউয়াল। বিক্ষোভ মিছিলটি কেন্দ্রীয় অফিসের বিপরীত দিকের সড়কের ভিআইপি টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে জোনাকি সিনেমা হলের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর সেখান থেকে মোড় নিয়ে চায়না টাউনের সামনে দিয়ে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এসে শেষ হয়।
ফরিদপুরে দুই সহোদর শ্রমিকের হত্যার ঘটনা তুলে ধরে রিজভী বলেন, দু’জন শ্রমজীবী মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করার পর সরকারই বাধ্য হয়েছে গ্রেফতার করতে, কাকে? একজন চেয়ারম্যানকে। তিনি হলেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান। প্রত্যেকটি জায়গায় সমস্ত দুর্বৃত্তপনা, সন্ত্রাস, রক্তপাত করছে সরকারের লোকজন। এদের দিয়েই তো অন্যায় করা হয়েছে। এদের দিয়েই তো গণতন্ত্রকামী মানুষের মিছিলে হামলা করা হয়েছে। এরা ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে গেছে মানুষ হত্যার, টাকা লুটের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ ব্যাংকের টাকা লুটপাট করেছেন যারা, তারা আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন, আছেন অথবা মন্ত্রী অথবা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ লোকজন। এই তথ্যগুলো যাতে সাংবাদিকরা না পায়, সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ যারা অপরাধী তারা পাপকে লুকিয়ে রাখতে চায়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পতন না হলে কোনো মানুষের নিরাপত্তা নেই।
ওবায়দুল কাদের সাহেবরা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সবকিছু বন্ধক রেখেছেন পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে- এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আপনারা (ওবায়দুল কাদেররা) পাকিস্তানের কথা শুনলে গোসল করেন কয়েকবার আর সামান্য একটু প্রশংসা করেছে পাকিস্তান, সেটি নিয়ে জোর গলায় কথা বলছেন। আর বলেন, ‘বিএনপির সাথে নাকি পিরিত’। বিএনপি যা বলে সত্যের পক্ষে স্পষ্ট। আর ওরা (আওয়ামী লীগ) বলে তলে তলে। ওরা তলে তলে পিরিত সবার সাথে করে রাখে। কারণ ওরা অবৈধ। ওরা সত্য বলতে পারে না। ওদের কোনো আদর্শ নেই, ওদের আদর্শ হচ্ছে সন্ত্রাস, ব্যাংক লুট। যাদের আদর্শ নেই তারা যেকোনো কাজ করতে পারে।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। কারাগারে থাকা প্রত্যেক নেতার মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, বন্দী করে কোনো স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট টিকে থাকতে পারেনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি রফিক হাওলাদার, আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক সওগাত উল ইসলাম সগির, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, ইলিম মো: নাজমুল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহসাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, জিয়া মঞ্চের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জামাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক এ বি এম মুকুল, জাভেদ, জাহাঙ্গীর, হাজী নুরুল আলম মোল্লা, আবু জাফর পাটোয়ারি বাদল, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার বশির, শাহাবুদ্দিন সিকদার ডালিম, সালেহ আহমেদ তানসেন, ওমর ফারুক, সম্পাদক মির্জা ইয়াসিন, হুমায়ুন কবির, সাবেক সদস্য মাসুদ রেজা, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি হাসানুর রহমান হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল হক জিসান, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সহসম্পাদক সাব্বির হাওলাদার, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ, ছাত্রদল নেতা ডা: মুশফিক, আশরাফুল আসাদ, মাসুম প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা